ছুটি-বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষিকারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আইনি লড়াইয়ে যাওয়ারও তোড়জোড় করছিলেন কেউ কেউ। ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ বা শিশু পালনের ছুটির জন্য আবেদন জানিয়ে তমন্না দে নামে এক স্কুলশিক্ষিকা এ বার মামলা ঠুকে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টে।
সরকারি মহিলা কর্মীরা সন্তানের ১৮ বছর পর্যন্ত ৭৩০ দিন বা দু’বছরের শিশু-পালন ছুটি পান। কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মতো স্বশাসিত সংস্থা ইত্যাদি জায়গায় সেই সুবিধা নেই। প্রশ্ন উঠছিল, সরকারি মহিলা কর্মী এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষিকাদের বেতনের উৎস তো একই সরকারি কোষাগার। তা হলে শিশু-পালন ছুটি থেকে শিক্ষিকাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? শুধু স্কুল-কলেজের শিক্ষিকা নয়, রাজ্যের মহিলা মন্ত্রী থেকে শুরু করে মহিলা কমিশনের সদস্যা পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রের মহিলারা মনে করেন, শিশু পালনের জন্য সব স্তরের মহিলা কর্মীদেরই এই ছুটি দেওয়া উচিত। এই মর্মেই আবেদন জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টে মামলা করেন তমন্নাদেবী। তিনি এ দিন বলেন, “আদালতের রায়ের উপরে অনেকটা নির্ভর করছি। আশা করছি, সুবিচার মিলবে।”
শিশু পালনে ছুটির ব্যবস্থা না-থাকায় সন্তানের দেখভাল এবং শিক্ষকতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তমন্নাদেবী। গত বছরের গোড়ায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই কালিয়াচকের মোজামপুর এইচএসএফবি হাইস্কুলের এই শিক্ষিকার শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তখন থেকেই স্কুল ছুটি নিয়ে বিশ্রাম নিতে হয় তাঁকে। গত সেপ্টেম্বরে তাঁর ছেলে হয়। সন্তানের আড়াই মাস বয়সে চাকরিতে ফেরেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু তত দিনে মাতৃত্বকালীন ছুটি-সহ সব ছুটি শেষ। সন্তানের খেয়াল রাখার জন্য ফের ছুটি নিতে হয়েছে তমন্নাদেবীকে। আপাতত বিনা বেতনের ছুটিতে আছেন তিনি।
তমন্নাদেবীর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, মামলাটি আদালতে গৃহীত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে তার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা।
১ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত শিবাজি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজাকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, ওই দিন তিনি রায় দেবেন। দিল্লি পুলিশের কাছে শিবাজির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন। তার ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ তাঁর নামে ‘লুক আউট নোটিস’ জারি করে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় তাঁকে ধরে অভিবাসন দফতর। পরের দিনই জামিন পান তিনি। কিন্তু শর্ত মেনে আদালতে হাজির না-হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করেন অতিরিক্ত জেলা জজ।