সোমবার এসএসসি মামলার শুনানি রয়েছে।
নিয়মবিধি অনুযায়ী এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরির সুপারিশ করে এবং তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন স্কুলে ‘গ্রুপ-ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদে যে-পঁচিশ জনের নিয়োগ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে, কমিশনের সুপারিশেই তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল বলে কলকাতা হাই কোর্টে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন পর্ষদের আইনজীবী। আজ, সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী কমিশন যে-সুপারিশ করেছিল বলে জানানো হচ্ছে, তার সবিস্তার তথ্য-সহ হলফনামা জমা দেওয়ার কথা পর্ষদের। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২২ নভেম্বর অর্থাৎ আজ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন যদি কর্মবিরতি সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলেও এই মামলার শুনানির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হবে না।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মামলা চলছে হাই কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ ফুরোনোর পরেও নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২৫ জনের নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। ওই ২৫ জনের বেতন আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছেন বিচারপতি। তাঁদের মামলায় যুক্তও করা হয়। মামলাকারীদের কৌঁসুলিরা আদালতে জানান, ২৫ নয়, অন্তত ৫০০ জনকে এ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই ৫০০ জনের তালিকাও চেয়েছে আদালত। আজ মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবীরা সেই তালিকা আদালতে জমা দিতে পারেন।
কমিশন আদালতে জানিয়েছিল, তারা কাউকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেয়নি। গত বৃহস্পতিবার পর্ষদের কৌঁসুলি কোয়েলি ভট্টাচার্য আদালতে জানান, কমিশনের সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল। তার পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত ভাবে বক্তব্য জানাতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদ-সভাপতিকে এই নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্য নিজের কাছে মুখবন্ধ খামে রাখতে বলেছেন তিনি। যাতে এই মামলায় তদন্ত হলে সেই নথি তদন্তকারীরা ব্যবহার করতে পারেন।