West Bengal News

প্রিয়ঙ্কা শর্মা-কাণ্ডে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের, আদালত অবমাননার নোটিস ধরাল সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই এ বার আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩৬
Share:

বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা। —ফাইল চিত্র

কৈফিয়ত আগেই চাওয়া হয়েছিল। এ বার বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মার গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি না দিয়ে কেন এক দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল, তার জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে সেই জবাব দিতে হবে রাজ্যকে।

Advertisement

নিউইয়র্কে একটি ফ্যাশন অনুষ্ঠানেবলিউড তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসানো একটি মিম পোস্ট করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা। তাঁর বাড়ি হাওড়ায়। হাওড়ারই এক তৃণমূল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ মে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। হাওড়া আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান প্রিয়ঙ্কা।

শীর্ষ আদালত অবিলম্বে তাঁর মুক্তির নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে প্রিয়ঙ্কাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। সেটা ছিল ১৪ মে। কিন্তু ওই দিন তাঁকে মুক্তি না দিয়ে হাওড়া জেলেই রাখা হয়। তিনি মুক্তি পান পরের দিন বুধবার। সেই ঘটনা শীর্ষ আদালতের নজরে আনার পর তখনই দুই বিচারপতি রাজ্য সরকারের কৈফিয়ত তলব করেছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাতভর ৩৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি! জলমগ্ন মুম্বইয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের খাদে যাত্রী বোঝাই বাস, মৃত অন্তত ৩০

শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই এ বার আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জামিন মামলার শুনানির সময়েই বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই গ্রেফতারি ‘প্রাথমিক ভাবে স্বেচ্ছাচারিতা’। সেই সময়ই কেন জামিনের নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাঁকে ছাড়া হল না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময় জামিন নিয়ে প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। দুই বিচারপতি প্রিয়ঙ্কাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু পরে আবার উভয় পক্ষের আইনজীবীদের ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাওয়া জামিনের শর্ত নয়। অর্থাৎ ক্ষমা চান বা না চান, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু তার পরেও এক দিন কেন আটকে রেখে পরের দিন মুক্তি দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালত রাজ্যের হাতে অবমাননার নোটিস ধরিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement