রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।—ফাইল চিত্র।
দলের নবান্ন অভিযানকে ‘হিংসাত্মক’ করতে বিভিন্ন উস্কানি দিতে শুরু করল বিজেপি। রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানো এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবিতে কাল, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করবে বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানে দলের কর্মীদের মেজাজ কেমন থাকবে? পুলিশ আটকালে তাঁরা কী করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘ওই মিছিল গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ভাঙতে চায় না। কিন্তু তা একতরফা ভাবে মানাও সম্ভব নয়। পুলিশের আচরণের উপর আমাদের আচরণ নির্ভর করবে। পুলিশ গুলি করলে
আমরা তো মিষ্টি খাওয়াব না।’’ সায়ন্তনের আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘হাজার হাজার যুবক হাঁটবেন। তাঁরা সকলে গাঁধীজি না-ও হতে পারেন।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কর্মসূচির আগেই এই ধরনের মন্তব্য করে দলের যুব কর্মীদের ‘হিংসা’য় উস্কানি দিয়ে রাখলেন সায়ন্তন।
কাল বিজেপির রাজ্য দফতর, হেস্টিংস কার্যালয়, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে চারটি মিছিল নবান্নের অভিমুখে যাবে। দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংসের মিছিলের দায়িত্বে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের সামনে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য ও রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান এবং সাঁতরাগাছির মিছিলে সায়ন্তন থাকবেন।