বরফ গলাতে বৈঠক তৃণমূলের।
শনিবার দিল্লি যাওয়ার কথা ‘ক্ষুব্ধ’ তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জোর তৎপরতা তৃণমূলের। দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন শতাব্দী। শুক্রবার গোটা দিনই শতাব্দীকে একের পরে এক তৃণমূল নেতা ফোন করেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ চলে যান শতাব্দীর বাড়িতে। আর তার পরেই সন্ধ্যায় অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক। সূত্রের খবর, কুণালের সঙ্গেই অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান শতাব্দী।
শনিবার সকালে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেও দলবদল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কথাই বলেননি শতাব্দী। তিনি শুক্রবার সকালে বলেন, ‘‘আজকের দিনটা নিজেকে সময় দিয়েছি। নিজের কাছেই নিজের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। যা সিদ্ধান্ত জানানোর শনিবারই জানাব।’’ এর পরে দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডে শতাব্দীর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, দীর্ঘ সময় কথা বলে দীর্ঘ দিনের বন্ধু শতাব্দীকে এক বার অভিষেকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি করান কুণাল। এর পরেই বৈঠকের ব্যবস্থা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব’-এর ফেসবুক পেজে তাঁর নামে একটি বয়ান প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম ‘বীরভূমে আমার নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের প্রতি’। ওই ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন কর্মসূচিতে বীরভুমের মানুষ শতাব্দীকে চাইলেও তাঁকে সে প্রসঙ্গে জানানোই হয় না। সেই সঙ্গেই শতাব্দী জানান, নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ২টোয় জানাবেন। এর পরে শুক্রবার শতাব্দী জানান, শনিবার দিল্লি গিয়ে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন তিনি। দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ মন্তব্যও করেন।
আরও পড়ুন: ‘ক্রিমিনাল’ বলায় শোভনের বিরুদ্ধে মামলার পথে কুণাল, আক্রমণ ফেসবুকেও
আরও পড়ুন: সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চক্রান্ত চিনের, জানালেন সেনাপ্রধান
এর পরেই তৎপরতা শুরু হয় তৃণমূলের তরফে। ফোন করেন দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। এ ছাড়াও কথা বলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন। সৌগত রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কথা বলতে পারেন শতাব্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী শতাব্দীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। ফের ফোন করতে পারেন।’’ সৌগত এই কথা জানানোর পরে পরেই কুণালের সঙ্গে অভিষেকের অফিসে গেলেন শতাব্দী।