তাঁর নতুন দল গড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ঠিক সেই সময়েই মুকুল রায়কে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-ঘনিষ্ঠ নেতা সন্তোষ পাঠক এবং রমেন পাণ্ডে। সন্তোষবাবু কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ও বড়বাজার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। রমেনবাবু কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি।
রমেনবাবুকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার ৩এ, হেয়ার স্ট্রিটে মুকুলের অফিসে যান সন্তোষবাবু। তিনি কংগ্রেসে এলে দল শক্তিশালী হবে বলে এ দিন ওই দুই নেতা মুকুলকে জানিয়েছেন। যদিও প্রকাশ্যে মুকুল এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে সন্তোষবাবুরা যে তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন, তা স্বীকার করে মুকুল বলেন, ‘‘হেয়ার স্ট্রিটে অনেক দিন ধরেই আমার অফিস রয়েছে। সন্তোষদের সঙ্গে প্রায়ই আমার দেখা হয়। আজ অফিসে রমেনকে নিয়ে সন্তোষ এসেছিল। চা খেতে খেতে কথা হল। সৌজন্যমূলক বৈঠক।’’ এর আগে কলকাতা ও দিল্লিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোমেন মিত্র এবং দলের নেতা আব্দুল মান্নান এবং দীপা দাশমুন্সির সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মুকুল।
এ দিনের বৈঠকের পরে রমেনবাবু বলেন, ‘‘মুকুলবাবু নতুন আঞ্চলিক দল করবেন শুনছি। উনি দল গড়লে আরও একটি ডানপন্থী দল হবে এ রাজ্যে। এত দল হলে রাজ্যেরই ক্ষতি!’’ তাই, রমেনবাবুরা মুকুলকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান। মুকুলকে তাঁরা বলেন, ফ্রন্টের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরেনি। তৃণমূলও ভোটে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। ফলে বাম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ রাজ্যে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে তাঁরা মুকুলের সাহায্য চেয়েছেন বলে পরে রমেনবাবু জানান। যদিও কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য, ‘‘মুকুলবাবু অনেক সময়ই বলছেন, তিনি কংগ্রেসে আসতে চাইলেই যে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তা মেনে নেবে, এমন নিশ্চয়তা বোধহয় নেই।’’