১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই দফতরের জন্ম হয়। সেই সময় থেকেই কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গেই কাজ করত এই দফতর। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে থাকত ক্রেতা সুরক্ষা দফতরটি। কিন্তু মমতা ক্ষমতায় এসেই ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টিকে পৃথক দফতরের হাতে দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় সাধনকে।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে সাধারণ মানুষকে চিনিয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর চেনানোর অসাধ্যসাধন করছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০১১ সালের রাজ্যে ক্ষমতাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল, তাতে স্থান পেয়েছিলেন মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। সেই সময়ই তাঁকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেন মমতা।
১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই দফতরের জন্ম হয়। সেই সময় থেকেই কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গেই কাজ করত এই দফতর। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে থাকত ক্রেতা সুরক্ষা দফতরটি। কিন্তু মমতা ক্ষমতায় এসেই ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টিকে পৃথক দফতরের হাতে দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাধনকে। সেই সময় পর্যন্ত রাজ্যের মানুষের স্পষ্ট কোনও ধারণাই ছিল না এই দফতরের ব্যাপারে।
প্রথম থেকেই কড়া হাতে কাজ শুরু করে দফতরের পরিধি বুঝে নিতে সমস্যা হয়নি তাঁর। রাজ্যের মানুষ কোনও পণ্য কিনে প্রতারিত হলে সহজেই যাতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও সাধনের আমলেই করা হয়। সঙ্গে জেলাস্তরেরও ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন শাখাকে সক্রিয় করে তোলেন তিনি। এমনকি আইন পড়ুয়ারাও এই দফতরের অভিযোগের শুনানিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাধনের আমলেই।
গত বছর জুলাই মাসে সাধন অসুস্থ হওয়ার পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্বে পান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৪ নভেম্বর তাঁর প্রয়াণের পর আপাতত দফতরের দায়িত্বে মানস ভুঁইয়া ও প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সাধনের উদ্যোগে এই দফতরের প্রসার প্রসঙ্গে মানস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার দায়িত্ব সাধনদাকে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর কর্মদক্ষতা ও তৎপরতা দিয়ে সেই দফতরকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলেন। আমি দফতরের কাজ করতে গিয়ে বারবার তাঁর করে যাওয়া কাজের প্রমাণ পেয়েছি।’’