একই দিনে শহরের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের হাতে প্রহৃত বিরোধী ও শাসক দলের সংগঠন! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ‘বেলাগাম দুর্নীতি’র প্রতিবাদে ‘রাজভবন অভিযান’ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাজপথে মার খেয়েছেন সিপিএমের যুব-ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। মজুরির দাবি আদায় করতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে পুলিশের মার জুটেছে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারদের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদেরও।
টেট নিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে সিপিএমের মিছিল রাজভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি পুলিশ। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং কিছু ক্ষণ অবরোধ করে কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা যখন করেছেন ডিওয়াইএফআই-এসএফআই নেতৃত্ব, তখনই এস এন ব্যানার্জি রোডের দিকে পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের একাংশের বচসা বাধে। তার পরেই লাঠি চালায় পুলিশ। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্র, কলকাতা জেলা সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, এসএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেন রায়-সহ ১২৩ জন গ্রেফতার হওয়ার পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে অস্বীকার করেছেন। রাতভর তাঁরা রয়েছেন লালবাজার লক-আপেই। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আজ, শুক্রবার তাঁদের তোলা হলে আবার বিক্ষোভ হবে।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এ দিনই এমএনরেগা সুপারভাইজারদের সংগঠনের মিছিলে লাঠি চালায় পুলিশ। তারা মজুরি আদায়ের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। সঙ্গে ছিল মমতার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও তৃণমূলের পতাকা। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আবুল আমিনুল ইসলামের ক্ষোভ, ‘‘গরিব মানুষের কি তৃণমূলের পতাকা ধরার অধিকার নেই? তৃণমূলের পতাকা শুধু বড়লোক এবং ভিআইপি-দের জন্য?’’