কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিজেপির মিছিল, গোবরডাঙায় ধুন্ধুমার

কাটমানি ফেরত, গোরবডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা-সহ কয়েকটি দাবিতে শনিবার স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০২:০৮
Share:

গোবরডাঙায় বিজেপি কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে জখম দু’পক্ষই। শনিবার। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

কাটমানি ফেরতের দাবিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। এ বার টাকা ফেরতের দাবিতে পুরসভায় বিজেপির স্মারকলিপি কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল গোবরডাঙায়। শনিবার এই ঘটনায় ইটের ঘায়ে এক মহিলা কর্মী-সহ পুলিশের ৪ জন জখম হয়েছেন। পাল্টা লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। তাতে জখম হয়েছেন বিজেপির কয়েক জন।

Advertisement

কাটমানি ফেরত, গোরবডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা-সহ কয়েকটি দাবিতে শনিবার স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপি। পুরসভার সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ৩টি রাস্তায় গার্ডরেল বসিয়েছিল পুলিশ। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গড়পাড়া টাউনহল মোড়ের দিক থেকে মিছিল পুরভবনের দিকে আসতে থাকে। কয়েক শো কর্মী-সমর্থকের মুখে ছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি।

মিছিল পুরভবনের কাছে আসতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা গার্ডরেল সরিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন। বাধা দেয় পুলিশ। কিছুটা দূরে গিয়ে বিজেপির লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপির দাবি, দুই মহিলা-সহ তাঁদের জনা কুড়ি নেতা-কর্মী জখম হয়েছেন। কারও হাত, কারও পা ভেঙেছে।

Advertisement

বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘বিজেপির লোকজন ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে আমাদের চার কর্মী জখম হয়েছেন।’’

গোলমালের মধ্যেই বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল পুরভবনে গিয়ে পুরপ্রধান সুভাষ দত্তের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। দলের গোবরডাঙা পৌর মণ্ডলের সভাপতি কৌশিক ব্যাপারীর অভিযোগ, ‘‘গরিব মানুষকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শাসকদলের নেতারা কাটমানি নিয়েছেন। এখনও নিচ্ছেন। আমরা পুরপ্রধানের কাছে দাবি করেছি, টাকা ফেরত দিতে হবে।’’ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাটমানি ফেরত দেওয়ার ভয়ে পুলিশকে দিয়ে তৃণমূল আমাদের লোকজনের উপরে অত্যাচার চালিয়েছে।’’ ঘটনার প্রতিবাদে আজ, রোববার গোবরডাঙা থানা ঘেরাও হবে বলে জানান তিনি।

পুরপ্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘বাড়ি তৈরিতে কাটমানি নেওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। যাঁরা সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের নিয়ে দু’বার বৈঠক করেছি। তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, সকলে খুশি। কোনও অভিযোগ করেননি কেউ।’’ তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, ‘‘যারা পুলিশের উপরে হামলা চালায়, তারা দুষ্কৃতী। বিজেপি সব জায়গায় গুন্ডাগিরি করছে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement