RSS

অস্ত্র নিয়ে মিছিলের পক্ষেই সায় সঙ্ঘের, সুর নরম দিলীপের

দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই কথায় কার্যত সায় দিল সঙ্ঘ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৪:৪৭
Share:
দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

রাম নবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের কথা বলেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে সমর্থন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই কথায় কার্যত সায় দিল সঙ্ঘ।

Advertisement

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা গত ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্নাটকে। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সঙ্ঘ কার্যালয় কেশব ভবনে আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের তরফে ওই সভার নানা সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেই সূত্রেই সেখানে সঙ্ঘের পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র প্রচার-প্রমুখ জিষ্ণু বসু বলেছেন, ‘‘রাম নবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হতেই পারে। মহরমেও তো হয়। তবে এটা আইনশৃঙ্খলার বিষয়। পুলিশ প্রশাসন যদি মনে করে মহরমে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে কোথাও কোনও অশান্তি হবে না, তা হলে রাম নবমীতেও অনুমতি দেবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা আলাদা করে কাউকে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার নির্দেশ দিচ্ছি না। তবে পুলিশকে ঠিক করতে হবে মহরমে তারা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার অনুমতি যদি দেয়, রাম নবমীর মিছিলে দেবে কি না।’’

টানা ক’দিন গরমাগরম হুঁশিয়ারির পরে অবশ্য সুর খানিক নরম করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। খড়্গপুর শহরে মালঞ্চ ধোবিঘাটে এ দিন শ্যামমন্দির সংলগ্ন ময়দানে লাঠি খেলার প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রামনবমী উপলক্ষেই ছিল এই আয়োজন। সেখানে শৃঙ্খলার কথা বলার পাশাপাশিই যুব সমাজকে আহ্বান জানিয়ে দিলীপের বার্তা, “শোভাযাত্রায় যুব সমাজের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। যতটা আইন অনুমতি দেয়, ততটাই হাতিয়ার নিয়ে আমরা খেলব।” আর বারুইপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘রাস্তা দু’টো। পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দিলে হয় আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আর না হলে প্রতিরোধ করতে হবে!’’

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের অবশ্য দাবি, ‘‘হিন্দুদের রাম নবমীর ইতিহাস যুগ-যুগান্তরের। আরএসএস বা বিজেপির কাছ থেকে তার উদযাপন শিখতে হবে না। বিজেপি ও আরএসএসের কিছু ভুঁইফোঁড় প্ররোচনা তৈরি করতে চাইছে। তবে বাংলার মানুষ তাতে পা দেবেন না।’’

আরএসএসের প্রতিনিধি বৈঠকে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (হিন্দু) উপরে আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, আগামী বিজয়া দশমীর দিন থেকে সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন কর্মসূচি শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সঙ্ঘের বক্তব্য, কোনও উদযাপন নয়। বরং, ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ, দেশ ও সমাজ পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে স্বয়ং সেবকদের ‘সমর্পিত’ হতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement