—প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলিও এ বার খোলাখুলি বিজেপির জন্য ভোটের প্রচারে নামছে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-সহ বিভিন্ন সংগঠনকে রাজ্যের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে বিজেপির প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিএইচপি-র পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শচীন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে আমরা বোঝাব, কেন হিন্দুত্ববাদের প্রয়োজনে বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখা দরকার। তা হলে তাদের মাধ্যমে ভক্তদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে।’’
ভিএইচপি-র মতো সংগঠনগুলিকে যে বিজেপির প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক সংগঠনগুলির কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। তবে ওদের প্রয়োজন হলে আমরা সাহায্য করব।’’
সঙ্ঘ বরাবরই তাদের সামাজিক সংগঠনগুলিকে সরাসরি রাজনীতির আওতার বাইরে রাখে। তা হলে হঠাৎ কেন তাদের রাজনৈতিক প্রচারে কাজে লাগানো হচ্ছে? সঙ্ঘের এক নেতার বক্তব্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর যে হাওয়া ছিল, এ বার তা নেই। ফলে এ ধরনের কৌশল নিতে হচ্ছে। যেমন রাম মন্দিরকে সামনে রেখে কার্যত ভোটের প্রচারেই নেমেছে ভিএইচপি। তাতে খানিক ‘সাফল্য’ এসেছে বলেই ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে ব্যবহার করে ‘ভোট ধরার’ কৌশল নিয়েছে সঙ্ঘ।
পাশাপাশি, কর্পোরেট ধাঁচেও ভোট জোগাড়ের কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সপরিবার ভোট পাওয়ার চেষ্টায় পেশাদার সংস্থার কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। আজ, শনিবার কলকাতায় এসে ওই পেশাদার সংস্থার আধিকারিকদের কাছে থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যে দলের হাল হকিকৎ-এর রিপোর্ট নেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।