৪ আসন জিতে নিল তৃণমূল। পঞ্চমটি গেল কংগ্রেসের হাতে। প্রত্যাশিত ভাবেই ধরাশায়ী বামেরা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গেল বাংলায়। প্রত্যাশিত ভাবেই ৪টি আসনে জয়ী তৃণমূল। ১টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব হেরে গিয়েছেন।
এ রাজ্যে ৫টি আসনের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বিঘ্নেই মেটে ভোটগ্রহণ পর্ব। ৫টা থেকে শুরু হয় গণনা। ভোটগ্রহণ থেকে গণনা, সারাক্ষণই বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন ৬ প্রার্থী।
৪৯টি ভোট পেলেই একজন প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা যত, তাতে ৪ প্রার্থীকে ৪৯টি করে ভোট দিয়েও বেশ কিছু ভোট অতিরিক্ত থেকে যায়। সেই অতিরিক্ত ভোট যে কংগ্রেস প্রার্থীকে দেওয়া হবে, তা তৃণমূল আগেই জানিয়েছিল। ফলে পঞ্চম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির জয় প্রায় নিশ্চিতই ছিল।
আরও পড়ুন: মাওবাদী অঞ্চলে বাহিনী বিদায়ের আশঙ্কা রাজ্যের
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ভোটের ফল ঘোষিত হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি তিন তৃণমূল প্রার্থী আবির বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং শান্তনু সেনও প্রয়োজনীয় ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাটমানিতে সরকার চলে না
পঞ্চম আসনে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জিতেছেন। তবে তিনি কিন্তু ৪৯টি ভোট পাননি। পেয়েছেন ৪৭টি। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪২টি আসনে জিতেছিল। পরে বেশ কয়েকজন বিধায়ক দলবদল করেন। নোয়াপাড়া থেকে নির্বাচিত মধুসূদন ঘোষ প্রয়াত হন এবং সে আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল জেতে। সবঙের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে চলে যান এবং সবং থেকে তৃণমূলের টিকিটে মানসবাবুর স্ত্রী জিতে আসেন। ফলে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তৃণমূলের অতিরিক্ত ভোট নিয়ে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ৪৭-এ পৌঁছন। বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব ৩০টি ভোট পাওয়ায়, সরল পাটিগণিতেই ১৭টি বোটে এগিয়ে থেকে জয়ী ঘোষিত হন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
* এই প্রতিবেদনে মূল ছবির ক্যাপশনে প্রথমে লেখা হয়েছিল, বাংলায় যে ৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ৪টিতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, ১টি বামেদের দখলে গিয়েছে। এই তথ্য ঠিক নয়। বামেরা কোনও আসনেই জয়ী হয়নি। ৪টিতে তৃণমূল এবং ১টিতে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।