ছবি: সংগৃহীত
দার্জিলিং মেল নিয়ে রেল দফতর থেকে জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ির জন্য কোনও আশ্বাসবাণী এখনও আনতে পারেনি জেলা বিজেপি। রেল জানিয়ে দিয়েছে, আগামী এপ্রিল থেকে দার্জিলিং মেল শুধুমাত্র নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহের মধ্যে চলবে। অর্থাৎ, দার্জিলিং মেলের যে কয়েকটি কামরা হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে চলত, সেটি তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে রেল।
এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই প্রতিবাদ শুরু হয়। অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। জেলা বিজেপির তরফে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সাংসদ তখন দিল্লিতেই ছিলেন। তিনি একাধিক রেলকর্তা এবং খোদ রেল মন্ত্রকেও যোগাযোগ করেন বলে দলের একটি সূত্রে খবর। ওই সূত্রটিই জানাচ্ছে, কোথাওই কোনও আশ্বাস পাননি সাংসদ। উল্টে রেল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দার্জিলিং মেলে প্রযুক্তিগত একাধিক বদল আসতে চলেছে। তার পরে ট্রেনের কোনও টুকরো কামরা অন্য স্টেশন থেকে চালানো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারা আপাতত বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না।
কেন দার্জিলিং মেল জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ি অবধি চালানো যাবে না?
রেলের দাবি, প্রথমত, মাস দুয়েকের মধ্যেই এনজেপি থেকে দার্জিলিং মেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে চলাচল করবে। সে ক্ষেত্রে ট্রেনের যাতায়াতের সময় কমে আসতে পারে। এখন রাত আটটা নাগাদ এনজেপি থেকে ট্রেন ছাড়ে। এর পরে সেটিকে এক ঘণ্টা এগিয়ে অথবা দু’ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। এক ঘণ্টা সময় এগিয়ে এলে হলদিবাড়ি থেকে স্লিপ কোচ আনতে সময়ে কুলোবে না। আর দু’ঘণ্টা সময় পিছিয়ে গেলে স্লিপ কোচ এনে ওই সময়টায় দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। এনজেপি-র মতো ব্যস্ত স্টেশনে দু’ঘণ্টা ধরে কোনও লাইন আটকে রাখা সম্ভব নয়।
রেল সূত্রের খবর, বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনে চলাচল শুরু হলেই দার্জিলিং মেলে আধুনিক এলএইচবি কোচ লাগানো হবে। সেই কোচ থেকে কামরা আলাদা করা যাবে না বলেই রেলের দাবি। তাই দার্জিলিং মেলের ঐতিহ্যের রুট বদলে যাবে, বলছে তারা।
এ দিকে, এটা নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বামেরা আন্দোলন শুরু করেছে। এ দিন শহর ব্লক কংগ্রেসের তরফে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এটাও কেন্দ্রের বিভাজনের রাজনীতি।”