প্রতীকী ছবি।
পাতে পড়লে জিভে জল আসে। তবে রসগোল্লা পথে পড়লে কী হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে বুঝল ভারতীয় রেল। কারণ রসগোল্লার জন্য তাদের অন্যতম ব্যস্ত রেলপথ পটনা-হাওড়া রুটে ৪০ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হল ট্রেন চলাচল। বাতিল করতে হল ৯১ টি ট্রেন। পথ বদলাতে হল আরও অন্তত ১৩১টি ট্রেনকে।
বিহারের লক্ষ্মীসরাই জেলার বাহরিয়া স্টেশনের ঘটনা। ছোট্ট স্টেশন। ছোট্ট শহরতলিও। তবে বাহরিয়া টাউনের আড়াইশো দোকান শুধু রসগোল্লা ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত। রসগোল্লাই বাহরিয়ার বাহার। অর্থনীতির অক্সিজেন। বিয়ের মরশুমে তাই খুব জরুরি বাহরিয়ায়। এখান থেকে পটনা, দ্বারভাঙা, মুজফ্ফরপুর, গয়ায় বিয়ের মিষ্টি যায়। অথচ সেই মিষ্টি পাঠাতেই এখন কালঘাম ছুটছে বাহরিয়ার রসগোল্লা টাউনের ময়রাদের।
সড়ক পথে গন্তব্যে রসগোল্লা পৌঁছে দিতে তিনগুন ভাড়া চাইছে গাড়ি। অজুহাতও প্রস্তুত। দাম বেড়েছে জ্বালানির। খরচ বেশি হচ্ছে। তাই আগে যেখানে ১২০ কিলোমিটার দূরের পটনায় রসগোল্লা পৌঁছতে মাত্র ৫৫টাকা খরচ হত, সেখানে এখন তার তিন চারগুণ বেশি খরচ হচ্ছে। আরও দূরে মিষ্টি পাঠাতে পরতায় পোষাচ্ছে না রসগোল্লা ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থায় তাঁরা যে ট্রেনে করে রসগোল্লা পাঠাবেন সেই উপায়ও নেই। কারণ ছোট্ট স্টেশনে অর্ধেক ট্রেনই থামে না!
এই অবস্থায় তাই জীবীকার প্রয়োজনে রেলেরই দ্বারস্থ হয়েছে বাহরিয়া। তবে চিঠি লিখে অনুরোধ করেনি। রসগোল্লা টাউনের বাসিন্দারা সোজা রেললাইনেই হত্যে দিয়েছেন সার বেঁধে। অবরোধ তুলতে নারাজ টাউনবাসীদের শেষে কথা দিতে বাধ্য হয়েছে রেল। ১৫ দিনের মধ্যেই অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়াবে বাহরিয়ায়। তারপরই রেল চলাচল শুরু হয়েছে পাটনা-হাওড়া রুটে।