সিবিআই দফতরে রাজীব কুমার। নিজস্ব চিত্র
রোজভ্যালি-কাণ্ডে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার। কিন্তু সেই আবেদনে গুরুত্ব দেননি সিবিআই আধিকারিকেরা। শুক্রবারই রাজীব কুমারকে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। এ দিন সকালেও সিআইডি-র এক অফিসারকে দিয়ে সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠিয়ে হাজিরা এড়ানোর চেষ্টা করেন রাজীব। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দুপুর ২টো নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হলেন রাজীব কুমার। জেরা চলল সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে।
সারদার পাশাপাশি রোজভ্যালি-কাণ্ডে তদন্তের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে এ দিন রাজীব কুমারকে তলব করা হয়। কিন্তু ১৯ অগস্টের আগে তিনি আসতে পারবেন না বলে সিবিআইকে চিঠি দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ফের তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে এ দিন হাজিরা দিতে বলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন সকালে সিআইডি-র আর্থিক অপরাধ দমন শাখা (ইওডব্লিউ)-র এক আধিকারিক রাজীব কুমারের চিঠি নিয়ে সিবিআই দফতের পৌঁছন।
কিন্তু তাঁকে সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজীবকে আজই হাজিরা দিতে হবে। এর পরওই আধিকারিক নীচে নেমে আসেন। এর পরেই হঠাৎ রাজীব কুমার সিজিও কমপ্লেক্স হাজির হন। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজীবের বয়ান এ দিন রেকর্ড করা হয়ছে। প্রয়োজনে তাঁকে আবার ডাকা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জাগো বাংলায় সারদার টাকা! তলব পেয়ে সিবিআই দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: দিল্লি গেলেন সব্যসাচী, জোরদার দলবদলের জল্পনা
২০১৩ সালে যখন চিটফান্ড-কাণ্ড সামনে আসে, তখন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। সিবিআই সূত্রে খবর, চিটফান্ড-কাণ্ডে গঠিত রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর তদন্তে কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছিল,তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এ সব তথ্য জানতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান।
(প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় ভুলবশত ১৯ অগস্টের পরিবর্তে ১৯ এপ্রিলের আগে আসতে পারবেন না বলে রাজীব কুমার সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।)