প্রতীকী ছবি।
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। প্রশাসনিক জটিলতায় বর্ধিত পেনশন পেতে আরও কয়েক মাস গড়িয়ে যেতে পারে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার পেনশনভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুরনো হারেই পেনশন পৌঁছেছে। কর্মী সংগঠনগুলির প্রশ্ন, ধরে নেওয়া হচ্ছে (‘নোশনাল’) যে, বেতন কমিশনের সুপারিশ রূপায়িত হচ্ছে ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে। তা হলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা শুরুতেই বর্ধিত পেনশন হাতে পাবেন না কেন?
অর্থ দফতরের খবর, ২১ জানুয়ারি নির্দেশিকায় জানানো হয়, পেনশন-কর্তৃপক্ষ পেনশনের সংশোধিত বয়ান রাজ্যের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের (এজি) কাছে পাঠাবেন। এজি ছাড়পত্র দিলে বর্ধিত পেনশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বর্ধিত পেনশন মিলবে তার পরে। সংশ্লিষ্ট শিবিরের ব্যাখ্যা, ২০১৬-র ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, এই নির্দেশিকা তাঁদের জন্য। গ্রুপ-ডি স্তরের উপরের পদের ক্ষেত্রে ‘পেনশন ফর্ম্যাট’ এজি-র কাছে পাঠাতেই হবে। নইলে নতুন পেনশন কার্যকর হবে না। কর্মরত সরকারি কর্মীদের জন্য অনলাইনের সুবিধা থাকলেও পেনশনভোগীদের ‘ফিক্সেশন’ প্রক্রিয়ার পুরোটাই হচ্ছে অফলাইনে। সেই জন্য বর্ধিত পেনশন পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে উদ্ধারে মাথা ফাটল পুলিশের
অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের আশ্বাস, পেনশনের পুরো কাজ রাজ্য করলে কেন্দ্র তা মানবে না। বিষয়টি তাই এজি-র কাছে পাঠাতেই হচ্ছে। আবার কেউ যদি সময়ের মধ্যে ‘ফিক্সেশন প্রেয়ার’ না-করেন, তা হলে পুরনো হারেই পেনশন পাবেন। প্রেয়ার জমা পড়লে নতুন হার কার্যকর হবে। ‘‘কিছুটা দেরি হলেও সব অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শীঘ্রই ‘এরিয়ার’-সহ নতুন হারে পেনশন পেতে শুরু করবেন,’’ বলেন ওই আধিকারিক।
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ়ের বক্তব্য, অবসরপ্রাপ্তদের উৎকণ্ঠা দূর করার দায় সরকারের। কাজের কাজ করছে না তারা। বর্ধিত পেনশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থসচিবকে চিঠি দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সরকারি কর্মচারী পরিষদের আশঙ্কা, মার্চের আগে নতুন পেনশন মিলবে না।