স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত বেসরকারি ওই হোম কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ মানেননি। প্রতীকী ছবি।
আবাসিকদের উপরে নির্যাতন হচ্ছে— এমন কয়েকটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে একটি হোম পরিদর্শন করল প্রশাসনের প্রতিনিধিদল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত বেসরকারি ওই হোম কর্তৃপক্ষ যদিও নির্যাতনের অভিযোগ মানেননি। ভিডিয়োগুলি পুরনো বলেও দাবি সেখানকার কর্তাদের।
ওই ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, কাউকে থামের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। আবার, কাউকে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের এ-জ়োনে হর্ষবর্ধন রোডের ওই হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ ভাবে সক্ষম ছেলেমেয়েদের রাখার জন্য সেখানে মাসে ১০-১২ হাজার টাকা ‘ফি’ নেওয়া হয়। এখন ১১টি মেয়ে-সহ ৪১ জন আবাসিক রয়েছে। হোম পরিচালন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি শিশিরকুমার চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বেশি বয়সের ‘হাইপার অ্যাক্টিভ’ আবাসিকেরা কখনও কখনও হিংস্র আচরণ করেন। তখন কিছু ক্ষণ ঘরে আটকে রাখা বা গামছা দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। মারধর করা হয় না।’’ তাঁর অভিযোগ, এই অভিযোগের পিছনে হোম সুপার আমির হাসানের চক্রান্ত রয়েছে।
আর আমিরের পাল্টা, ‘‘হোমের আর্থিক-সহ নানা অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায়, আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলা হচ্ছে।’’ হোমের পরিচালন কমিটির সম্পাদক পাপিয়া মুখোপাধ্যায় যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, ভিডিয়োগুলি কয়েক বছরের পুরনো।
মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার মহকুমা সমাজকল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবদুর্লভ ঘোষাল হোম পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের দাবি, সাম্প্রতিককালে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আবাসিকেরাও আমাকে তেমন কিছু জানায়নি। ’’