২০১৮ সালের তুলনায় প্রতিটি স্তরেই আসন-সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে সংরক্ষিত আসনও। ফাইল চিত্র।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে সংরক্ষিত আসনের তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের তুলনায় প্রতিটি স্তরেই আসন-সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে সংরক্ষিত আসনও। মহিলাদের জন্য নির্ধারিত আসনের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। অসংরক্ষিত আসনের সংখ্যা আগের বারের তুলনায় বেড়েছে ৪০৩৮টি।
তালিকা অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২০১৮-র তুলনায় সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলা সংরক্ষিত আসন ৩৪৪৮টি বেড়ে এ বছর ১৬,৯২০ হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৪৮৯টি থেকে হয়েছে ২৪৯৬। জেলা পরিষদে ২৪টি আসন বেড়ে হয়েছে ২৪২।
তালিকা অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েতে এ বছর মোট আসন হয়েছে ৬২,৪০৪। ২০১৮ সালের তুলনায় বেড়েছে ১৩,৭৫৪টি। তফসিলি জাতির জন্য ১২,৭৬৮টি, তফসিলি জনজাতিদের জন্য ৩৫৬৭টি, পিছিয়ে থাকা জাতিভুক্তদের জন্য ৯৩৯৬টি এবং মহিলাদের জন্য ১৬,৯২০টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯৪৯৮টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, পিছিয়ে থাকা জাতি এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫০৬, ৬২১, ১৩৪৫ এবং ২৪৯৬। জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনের মধ্যে সংরক্ষিত হয়েছে ২৫১, ৬১, ১৩৬ এবং ২৪২টি।
আসন সংরক্ষণেও ‘গোলমাল’ দেখছে বিরোধী শিবির। যেমন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “ভোটার তালিকা, আসন পুনর্বিন্যাস তালিকা-সহ সবেতেই গোলমাল রয়েছে। ফলে এই তালিকা খতিয়ে না-দেখে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।”