সুধীর চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত লোকসংস্কৃতি গবেষক, প্রাবন্ধিক সুধীর চক্রবর্তী। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মঙ্গলবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুধীর চক্রবর্তী সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
বাংলার লোকসংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণায় তাঁর অবদান বিপুল। কর্তাভজা, বলাহাড়ি, সাহেবধনি প্রভৃতি উপধর্ম সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও তাদের গান নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু আকর গ্রন্থ। তাঁর ‘ব্রাত্য লোকায়ত লালন’ গ্রন্থটিকে লালন ফকির সংক্রান্ত চর্চার একটি মাইলফলক বলে গণ্য করা হয়। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন লোকসম্প্রদায়ের গান। সম্পাদনা করে গ্রন্থের আকৃতি দিয়েছেন তাদের। লোকধর্ম বিষয়ে তাঁর গবেষণার অভিজ্ঞতাকে লিপিবিদ্ধ করেছেন ‘গভীর নির্জন পথে’ গ্রন্থে। রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাংলা আধুনিক গান নিয়েও তিনি লিখেছেন ‘নির্জন এককের গান: রবীন্দ্রসঙ্গীত’ বা ‘বাংলা গানের চার দিগন্ত’-র মতো বই।
পেশায় সরকারি কলেজের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক সুধীর চক্রবর্তীর লেখালেখির সীমানা ছিল বহুদূর বিস্তৃত। ‘সদর মফস্বল’ বা ‘পঞ্চগ্রামের পাঁচালী’-র মতো গ্রন্থে তিনি স্বাদু গদ্যে তুলে ধরেছিলেন গ্রাম বাংলার বহমান জীবনকে। রম্যরচনাতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
তাঁর গ্রন্থ ‘বাউল ফকির কথা’-র জন্য ২০০২-এ পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৪-এ।
আরও পড়ুন: ফোনে শুভেন্দুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কৈলাসের, যোগদান কি অমিত-সফরে
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়, কোচবিহারে বৈঠকে নেতাদের বার্তা নেত্রী মমতার