অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের ভিত্তিতে লোকসভায় ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কার্যকর হওয়া সেস এবং সারচার্জের তথ্য পেশ করল অর্থ মন্ত্রক। আর সেই তথ্যেই দেখা গিয়েছে, করের উপর বসানো অতিরিক্ত মাসুল অর্থাৎ সেস বৃদ্ধির হার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বর্তমানে কার্যকর থাকা সেসগুলি ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে যা ছিল, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারশো শতাংশ! লোকসভায় কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, বর্তমানে চালু থাকা ও বন্ধ হওয়া সেস ও সারচার্জগুলি থেকে আয় গত ১০ বছরে এক লক্ষ ৬২ হাজার ৮৯ কোটি বেড়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এ আদায় করা সেসের অঙ্ক পাঁচ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। এর ফলে কয়েক লক্ষ চাকরিজীবী উপকৃত হবেন বলে মোদী সরকারের দাবি। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে সারচার্জের মাধ্যমে টাকা আদায় করছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সাংসদ অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে আয়করে সারচার্জ বৃদ্ধির হার ৯৯৯ শতাংশ! যার ফলে কেন্দ্রের আয় বেড়েছে এক লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব মিলিয়ে সেস এবং সারচার্জ থেকে আদায়ের অঙ্ক তিন লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। অন্য দিকে, সাংসদ অভিষেকের আর এক প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী রামনাথ ঠাকুর কেন্দ্রের ২৮টি কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন কর্মসূচির বাজেট বরাদ্দ ও সংশ্লিষ্ট খরচ সংক্রান্ত খতিয়ান পেশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ থেকে ২-২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত মোট বাজেট বরাদ্দ সদ্ব্যবহার করা যায়নি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১৮ হাজার কোটির মধ্যে ১৬ হাজার ২১৮ কোটি খরচ করা গিয়েছিল। ২০২৩-২৪ বাজেট বরাদ্দ বেড়ে ২২ হাজার কোটি হলেও সদ্ব্যবহার হয়েছে ১৪ হাজার ২৫১ কোটি।