ফাইল চিত্র।
দুঃসংবাদের পর দুঃসংবাদে দমবন্ধ, প্রায়-কোণঠাসা অবস্থার মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায়ে কিঞ্চিৎ স্বস্তি পেল এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকার। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবারেই গ্রেফতার করা হয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন দুই উপদেষ্টাকে। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পরপর মামলায় জড়িয়ে পড়ছে এসএসসি। এমনই একটা সময়ে ২০১২ সালের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেল তারা।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এসএসসি-র মাধ্যমে প্রথম নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করেন প্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোয় ২০১১-র ২৯ ডিসেম্বর। পরীক্ষা হয় ২০১২-য়। ২০১৩-র ২৫ সেপ্টেম্বর বেরোয় মেধা-তালিকা। নিয়োগ চলে ২০১৩-র ১ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত। ঘোষিত শূন্য পদ ৪৬,৪০১টি। মেধা-তালিকায় ছিলেন ৩৬,৬০২ জন। নিয়োগ হয় ২৯,৫৭৫ জনের। প্রার্থীদের অভিযোগ, শূন্য পদের চেয়ে কম প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। এবং মেধা-তালিকায় নীচের দিকের কিছু প্রার্থী আগে চাকরি পেয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। হেরে যাওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চে যান। সেখানেও হেরে গিয়ে দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। গত ২১ জুলাই শীর্ষ আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও অনিয়ম হয়নি। শূন্য পদ যতই থাকুক, কত নিয়োগ হবে, সেটা নির্ভর করে নিয়োগকর্তার উপরেই। সিদ্ধার্থ বলেন, “কমিশনের একটি বড় নিয়োগকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা দায়মুক্ত হতে পেরেছি।”