প্রতীকী ছবি।
কারও কারও মনে হচ্ছে, এতদিনে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এ দেশের সিগমন্ড ফ্রয়েড বলে পরিচিত, মনোরোগের চিকিৎসার অন্যতম পুরোধা তথা মনঃবিশ্লেষক গিরীন্দ্রশেখর রায়ের বাড়িটি থেকে এক নতুন যাত্রা শুরু হল। মানসিক হাসপাতালের শুশ্রূষায় সেরে ওঠার পরে পরিবারহীন আবাসিকদের মূল স্রোতে ফেরাতে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র ওই বাড়িতে গড়ে উঠেছে। উপকৃত হতে চলেছেন অনেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘হাফওয়ে হোমটি’-র নামকরণ করেছেন ‘প্রত্যয়’। পিকনিক গার্ডেনের ওই বাড়িটিতে আগে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতাল ছিল। এখনসে হাসপাতাল অন্যত্র সরানো হয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামেরসরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রিমোটে ‘প্রত্যয়ে’-র আনু্ষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘মানসিক রোগীদের অনেকে ফিরিয়ে নিতে চায় না। তাঁদের জন্য হাফওয়ে হোম তৈরি করলাম।’’
৫০ জন পুরুষ ও ৫০ জন মহিলার থাকার পরিকাঠামো রয়েছে বাড়িটিতে। সমাজকল্যাণ দফতর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে বাড়িটি চালাবে।
সরকারি সূত্রের খবর, যাঁদেরবয়স ৫০-এর মধ্যে এবং যাঁরা চাকরি করে মাথা উঁচু করে বাঁচতে ইচ্ছুক ও সক্ষম, তাঁদেরই হাফওয়ে হোমটিতে থাকার জন্য বাছাই করা হয়েছে। উজ্জ্বল রং ও আলোয় সাজানো বাড়িটিতে এখন খুশির পরিবেশ।এক সরকারি কর্তা বলেন, ‘‘নতুন বাড়িতে থাকতে এসে মনের অসুখজয়ীরা কাজ পেতে উন্মুখ। তাঁদের ঝোঁক অনুযায়ী দক্ষতা অর্জনের তালিমও দেওয়া হবে।এক বছরের মধ্যে আবাসিকদের কর্মসংস্থান করে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসা হবে।’’
এখনও পর্যন্ত পাভলভ থেকে তিন জন পুরুষ ও তিন জন মহিলা প্রত্যয়ে থাকতে এসেছেন। কোভিডের জন্য লুম্বিনীর কয়েক জন আবাসিকের আসা কিছু দিন পিছিয়েছে।পাভলভের আরও আট থেকেদশ জন আবাসিককে নতুন বাড়িতে নিয়ে আসার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।
মনের অসুখজয়ীদের জন্য বহরমপুরেও এমন একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরির কাজ চলছে।