গুধিয়ায় অনুব্রতকে ‘লাল কার্ড’ জয়ের

পাড়ুই ও মাকড়া কাণ্ডের পরে অনুব্রত মণ্ডলকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য বীরভূমের মানুষ এখন তৈরি বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রাম গুধিয়ায় বিজেপি’র ‘বাংলা বাঁচাও সমাবেশ’-এর ডাক দেয়। ওই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে জয় বলেন, “এক সময়ের তাঁর ইশারায় বীরভূমে গাছের পাতা নড়ত। সমস্ত মানুষ তাঁর কথায় ওঠাবসা করতে বাধ্য হত। কিন্তু এখন বীরভূমের মানুষ তাঁকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য তৈরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুধিয়া (লালবাগ) শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৯
Share:

সভায় বিজেপি-র এক সমর্থক। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

পাড়ুই ও মাকড়া কাণ্ডের পরে অনুব্রত মণ্ডলকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য বীরভূমের মানুষ এখন তৈরি বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রবিবার মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রাম গুধিয়ায় বিজেপি’র ‘বাংলা বাঁচাও সমাবেশ’-এর ডাক দেয়। ওই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে জয় বলেন, “এক সময়ের তাঁর ইশারায় বীরভূমে গাছের পাতা নড়ত। সমস্ত মানুষ তাঁর কথায় ওঠাবসা করতে বাধ্য হত। কিন্তু এখন বীরভূমের মানুষ তাঁকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য তৈরি। তিনি যে পাপ, অরাজকতা, হিংসা করেছেন তার জন্য তাঁকে ভুগতে হবে।” তাঁর কথায়, “সব জেলায় তৃণমূল একটা করে অনুব্রত রেখে দিয়েছে। বীরভূমে যেমন আছে, তেমনই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও অনুব্রত আছে বলে দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। অনুব্রতদের সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই, আপনাদের পাপের ভাগী কেউ হবে না। এমনকী আপনি যে দলের হয়ে পাপ করছেন, তারাও ভাগ নেবে না। আরাবুলের মতো পার্টি আপনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে।”

মুর্শিদাবাদ থানার তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম গুধিয়া। এ দিন দুপুরে গুধিয়ার হাটের বাগান ময়দানে অনুষ্ঠিত বিজেপি’র ওই সভায় ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সেই সঙ্গে ছিল ওই সম্প্রদায়ের মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তেঁতুলিয়া ছাড়াও ডাঙাপাড়া, কাপাসডাঙা পঞ্চায়েত এবং মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকার মানুষও ওই সভায় ভিড় করেন। বাস, ট্রেকারের পাশাপাশি দলীয় পতাকা লাগানো মোটর বাইকের মিছিল ওই সভার ভিড়ে মিশে যায়।

Advertisement


‘সজাগ দৃষ্টি’। গুধিয়াতে বিজেপি-র সভায় গৌতম প্রামাণিকের ছবি।

যদিও ওই সভা তৃণমূল ‘দাদাগিরি’ করে ভেস্তে দিতে চেয়েছিল বলে বিজেপি’র অভিযোগ। রাজ্য নেতা তথা বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক দেবাশিস মিত্রের কথায়, “শাসকদলের হুমকি, চোখ রাঙানি ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে যারা বিজেপি’র সভায় অংশ নিয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানাই।”

এ দিনের ওই সভায় বামপন্থী বেশ কয়েক জন নেতা বিজেপি দলে যোগ দেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা কবিরুল ইসলাম ও মজিবুর রহমানের অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজনও বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সেই সকল মানুষের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। ফলে বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি তারা কিছু দিনের জন্য স্থগিত রেখেছে। বিজেপি’র সভা ভেস্তে দিতে ওই ময়দানে তৃণমূল সভা আয়োজনে জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সফল হয়নি।” সভায় জয় বলেন, “দু’তিন দিন আগে রাহুল সিংহের নেতৃত্বে পাড়ুইয়ে আমাদের একটা সফল সভা হয়েছিল। ওই সভায় সাধারণ মানুষের প্রচুর ভিড় হয়েছিল। সেখানে প্রচুর উদ্দীপনা, উন্মাদনা, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ বিজেপি’র মিটিং শুনতে আসছে দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement