Primary School

Reading Festival: কচিকাঁচাদের জড়তা কাটাতে এ বার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শুরু হবে পাঠ উৎসব

পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সমস্ত জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দেশ পাঠিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২৪
Share:

এ বার প্রাথমিক স্কুলে শুরু হবে ‘রিডিং উৎসব’। প্রতীকী ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় এ বার উৎসবের সংযোজন। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, সমস্ত জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দেশ পাঠিয়েছন। সেই নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ‘রিডিং ফেস্টিভ্যাল’(পাঠ উৎসব) শুরু করতে বলা হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের গল্পপাঠ, গল্প বলা এবং কবিতা আবৃত্তির মতো বিষয়গুলিকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের এই কর্মসূচিতে আগ্রহী করতে শিক্ষা সম্বন্ধীয় অভিনব কিছু বিষয় রাখা হচ্ছে। এই কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে সমগ্র শিক্ষা বাজেট থেকে। এই উৎসবে প্রায় ছয় কোটি টাকা খরচ হবে।

এই ‘রিডিং ফেস্টিভ্যালে’ অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে অভিভাবক, কাছের স্কুলের শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষাকর্মী, শিক্ষাবন্ধু, স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনের আধিকারিকদের। এ ছাড়াও এই কর্মসূচিতে সর্বস্তরের সমাজকে যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই রিডিং ফেস্টিভ্যালে অংশ নিলে ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সঙ্গে এই উদ্যোগ মারফত প্রকাশ্যে প্রশংসা পেলে তাঁরা বহির্জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। আরও বেশি করে নিজেদের উৎকর্ষ সাধনে মনোযোগী হবে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ বলে একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনগুলি প্রতিবাদ জানালে সেই উদ্যোগ থেকে সরে আসে রাজ্য শিক্ষা দফতর।

‘রিডিং ফেস্টিভ্যাল’ ঘোষণার পরেই এই কর্মসূচিকে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচির সঙ্গে তুলনা করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বলা হয়েছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তো থাকবেনই, অভিভাবকদেরও অধিকার আছে বাচ্চার কেমন লেখাপড়া হচ্ছে, তা দেখার। অর্থাৎ জনগণ এসে দেখবে ছেলেমেয়েরা কীভাবে লেখাপড়া করছে। তা হলে কি ধরে নিতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর নজরদারি করতে এমনটা করা হচ্ছে। কারণ আমরা ইদানীং দেখছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কী রকম ঘটনা ঘটছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement