(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি-র তলব নিয়ে আরও একবার ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, ‘‘অভিষেককে সারাক্ষণ বিরক্ত করা হচ্ছে। অকারণ হেনস্থা করা হচ্ছে ওকে। কোনও প্রমাণ নেই।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘বারবার অভিষেককে নিম্ন আদালত, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে ছুটতে হচ্ছে বিচারের জন্য! কী হয়নি ওর বিরুদ্ধে?’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে ইডির তলবকে ‘নতুন প্রজন্মের উপর আক্রমণ’ হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আসলে ওরা তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এ সব মানবে না। হিম্মত নিয়ে লড়বে।’’ রবিবার সন্ধ্যায় টুইট করে অভিষেক নিজেই জানিয়েছিলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে ইডি। ওই দিনই আবার বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে দিল্লিতে। যে কমিটির সদস্য অভিষেক। এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘‘৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা ও অন্তঃসারশূন্যতা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারছি না।’’
সোমবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর গ্রেফতারিরও সমালোচনা করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবুকে যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটাও আমি ভাল ভাবে দেখছি না। অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তদন্ত হোক। তাই বলে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাউকে জেলে পাঠিয়ে দিলাম, এটা ঠিক নয়।’’ বিজেপিকে মমতা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন, ‘‘আজ সরকার আপনাদের। কাল অন্যরা আসবে। তখন তারাও ষদি আপনাদের বিরুদ্ধে এগুলোই করে?’’
এর আগে গত ২০ মে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে অভিষেককে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময়ে ‘নবজোয়ার’ যাত্রা থামিয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে অভিষেককে হাজিরার নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। তারপর একবার ইডিও তলব করেছিল। কিন্তু সে বার অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘নবজোয়ার’ শেষ হলেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর যা হওয়ার দেখা যাবে। তবে বেছে বেছে ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনই অভিষেককে তলবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখছে তৃণমূল।