প্রতীকী ছবি।
রেশন ব্যবস্থা নিয়ে যে অভিযোগ এখনও উঠছে তা বিক্ষিপ্ত এবং সামান্য। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই রেশন তুলে নিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। শনিবার নবান্নে এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘কোথাও কোথাও একটি-দু’টি ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, অভিযোগ উঠলে খাদ্য দফতর ও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, জেলাশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ামকদের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক হয়েছে। সেখানে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও উপস্থিত ছিলেন। তাতে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে রেশনের খাদ্য বিলি নিয়ে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। ৭৩% উপভোক্তা রেশন ইতিমধ্যেই তুলে নিয়েছেন। কোটার খাদ্যসামগ্রীর ৬৮% বিলিবণ্টন হয়ে গিয়েছে। ৪৪০ জন ডিলারকে শোকজ় করা হয়েছে। ৬৯ ডিলারকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২৯ জনের বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। ৫১টি ক্ষেত্রে পুলিশ বা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ মামলা দায়ের করেছে। ১২ জন ডিলার এবং ৩০ জন বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন।
তার পরেও বিক্ষোভ থাকলে তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি জানান, জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলে যেটা মনে হচ্ছে, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ যাঁরা আগে রেশনের দোকানে যেতেন না, তাঁরা এই আকালের দিনে রেশন দোকানে যাচ্ছেন।