অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা বানিয়ে ফেলেছে একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। অন্য এক দল স্কুলপড়ুয়া বানিয়েছে ছোট বায়োগ্যাস প্লান্ট।
এগুলো দেখতে পাওয়া যাবে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য দুর্গাপুর এনআইটি-র তৈরি মিউজ়িয়ামে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান এবং গণিতে আগ্রহ আরও বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে চলছে ‘রাষ্ট্রীয় আবিষ্কার অভিযান’। সেই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য একটি মিউজ়িয়াম তৈরি করেছে দুর্গাপুর এনআইটি। হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি পরীক্ষাগার। এ ভাবেই স্কুলপড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র। এনআইটি-তে হাতে-কলমে বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষা পাচ্ছে দুর্গাপুর এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পড়ুয়ারা। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থেকে শুরু করে বায়োগ্যাস প্লান্ট তারই ফল বলে জানান এই কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত, এনআইটি-র পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক হীরক চৌধুরী।
জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত-সহ বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়ানোর জন্য হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে এনআইটি-তে। উদাহরণ দিয়ে হীরকবাবু জানালেন, টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ দেখানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু শুধু চাঁদ-তারা দেখানো হয় না। টেলিস্কোপ কী ভাবে তৈরি হয়, এর পিছনে বিজ্ঞানের ভূমিকা কী— বোঝানো হয় সবই। অথবা গাড়ি চলে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক আলো নিভে যাচ্ছে। এর পিছনে কী প্রযুক্তি, তা বোঝানো হয়। বিদ্যুতের অপচয় কী ভাবে রোধ করা যায়, বোঝানো হয় তা-ও। হীরকবাবু বলেন, ‘‘প্রতিদিন পড়ুয়াদের যে-সব অভিজ্ঞতা হয়, তার মধ্য দিয়েই আমরা ওদের বোঝাই।’’
দুর্গাপুর শহরাঞ্চলের স্কুলগুলি এই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। রয়েছে আশপাশের স্কুলও। প্রায় ৪০টি স্কুল আপাতত এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। নিয়মিত বিজ্ঞান সেমিনার, কর্মশালা করেন তাঁরা। ১ ফেব্রুয়ারি স্কুলগুলির শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপুর এনআইটি-র অধিকর্তা অনুপম বসু বলেন, ‘‘স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান চেতনা প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে এনআইটি।’’