State News

কোলাঘাটে গণধর্ষণে নির্যাতিতার মৃত্যু, মুখ বন্ধ করতে টাকার টোপ?

কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁশকুড়ার চাকদা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে গত তিন বছর ধরেই সম্পর্ক ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীটির। তাদের সম্পর্কের কথা জানত দু’টি পরিবারই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ১২:২৮
Share:

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস

কোলাঘাটে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মৃত্যু হল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে। গত কয়েক দিন ধরেই এসএসকেএমে ভর্তি ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এ দিন ছাত্রীটির পরিবার অভিযুক্ত পাঁচ জনের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। টাকা দিয়ে ছাত্রীটির পরিবারের মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কোলাঘাটের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁশকুড়ার চাকদা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে গত তিন বছর ধরে সম্পর্ক ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীটির। তাদের সম্পর্কের কথা জানত দু’টি পরিবার। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরয় ছাত্রীটি। কিছুটা দূর যাওয়ার পরেই ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার প্রেমিকের। অভিযোগ, সেখানেই একটি নির্মিয়মাণ বাড়ির কাছে এক গাছে বেঁধে চার জন মিলে গণধর্ষণ করে ছাত্রীটিকে। ঘটনায় ছাত্রীটির প্রেমিকও জড়িত কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তবে তার প্রেমিক জানিয়েছে, তারা যখন দু’জন রাস্তায় হাঁটছিল, তখনই চার জন এসে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে তারা জানায়, ঘটনার ভিডিয়ো তোলা রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে সেই ভিডিয়ো সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনার পর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে। সেখানে ছাত্রীটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

Advertisement

আরও পড়ুন- কিশোরী ধর্ষণে দশ বছর কারাদণ্ড​

আরও পড়ুন- প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, তিন দিন ধরে খোঁজ নেই তরুণীর!​

এ দিন ছাত্রীটির পরিবারের তরফে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীরাও তাঁদের দাবি সমর্থন করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা যাতে ঘটনাটা কাউকে না বলেন, সে জন্য স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁদের টাকা দেওয়ার প্রলোভনও দেখিয়েছিলেন। যদিও সেই নেতা বা স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement