ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
সাঁইথিয়ার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সৈকত বিশ্বাসকে তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। হাতজোড় করে বলেছিলেন, ‘‘বগটুইয়ে নিরাপত্তা নেই। তাই গ্রামে ফিরতে চাই না।’’ কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় কিছু পর। পুলিশের আশ্বাসে বগটুইয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন নিহত ৮ জনের পরিবার। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই গ্রামে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সঙ্গেও দেখা করবে মৃতের পরিবার।
সূত্রের খবর, নিহত আট জনের পরিবারের সদস্যদের পুলিশের তরফে বোঝানো হয়, তাঁরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে পারবেন। না হলে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে না। পুলিশ আধিকারিকরা আশ্বাস দেন, কোনও অসুবিধা হবে না, সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তার পরই গ্রামে ফিরতে রাজি হন নিহতের পরিবারের ঘরছাড়া সদস্যরা। রওনা দেওয়ার সময় পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘আমরা যাচ্ছি। পুলিশ সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে বলেছে। পুলিশের গাড়িতেই আমরা যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীকে সব বলব। আমরা যেন ন্যায়বিচার পাই।’’
মুখ্যমন্ত্রী আসছেন গ্রামে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে ঘরছাড়া পরিবারগুলোকে বগটুই গ্রামে ফেরাতে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গিয়েছিলেন সাঁইথিয়ার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) সৈকত বিশ্বাস। কিন্তু নিরাপত্তা নেই, এই দাবি করে ঘরে ফিরতে অস্বীকার করেন নিহত ৮ জনের পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ ওই পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার পূর্ণ আশ্বাস দেয়। বলা হয়, তাঁদের নিরাপত্তার সমস্ত ভার পুলিশের উপর। তার পরই মত বদল করে সদ্য ৮ জনকে হারানো পরিবার। পুলিশের ঠিক করে দেওয়া গাড়িতে চড়েই বগটুই রওনা দেন তাঁরা।
আগেই প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বগটুই গ্রামে ফিরেছে নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য ছবিটা ছিল অন্য। বিডিও বাতাসপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলিকে ঘরে ফেরার আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাতজোড় করে তাঁরা ঘরে ফেরার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরিবারের এক সদস্য বলেছিলেন, ‘‘ওখান আমরা যেতে চাই। কিন্তু আমাদের জীবনের ঝুঁকি আছে। তাই আমাদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা না দিলে যেতে পারব না। আমাদের জীবনের নিরাপত্তার দায় কে নেবে? চোখের সামনে আমার পরিবারকে পুড়িয়ে খুন করে দেওয়া হয়েছে। এখানে কথা বলার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই।’’