বগটুই কাণ্ডে বিজেপি-র রিপোর্ট পেশ নিন্দনীয়, বললেন মমতা নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাকে বিজেপি-র সত্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘‘তদন্ত চলাকালীন এই ধরনের রাজনৈতিক রিপোর্ট তদন্তকে দুর্বল ও প্রভাবিত করবে’’। দার্জিলিংয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সমস্ত রকম ভাবে সিবিআইকে সহযোগিতা করছে। তিনি বিজেপি-র মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, ‘‘আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। তাই সমস্ত রকম সহযোগিতা করছি। কিন্তু তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করলে তা বরদাস্ত করব না।’’
বগটুই নিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গড়া পাঁচ সদস্যের সত্য অনুসন্ধান কমিটি রিপোর্ট পেশ করল বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার কাছে।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে ধৃত তিন জনকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হল। আদালতে ঢোকার সময় ধৃতরা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
বগটুই-কাণ্ডে আজ মিহিলালের শেখের পাশাপাশি দমকলের দুই আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁরা আগুন নেভানোর কাজ করেছিলেন।
সাঁইথিয়ার বাতাসপুর থেকে কুমারড্ডার দিকে রওনা হওয়ার সময় মিহিলাল শেখ বলেন, ‘‘গ্রামে আপাতত কোনও আতঙ্ক নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। আপাতত বগটুইয়ের পাশের গ্রাম কুমারড্ডায় আত্মীয়ের বাড়িতে থাকব। মেয়ে মারা গিয়েছে। ছেলে ইব্রাহিমকে মানুষ করতে চাই। বাড়ি ঘরদোর ঠিক হলে বগটুইয়ে ঘরে ঢুকব।’’
আবারও বোমা উদ্ধার বীরভূমে। এবার বোমা উদ্ধার বীরভূমের খয়রাশোলে। আজ সকালে খয়রাশোল থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খয়রাশোল থেকে পাঁচড়া যাওয়ার রাস্তায় জোড়া বটতলার একটি ফাঁকা জায়গায় ঝোপ থেকে বালতি ও জ্যারিকেন ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৩৫ টি তাজা বোমা রয়েছে।
সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রাম থেকে বেরোলেন মিহিলাল শেখ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সকলে যাচ্ছেন কুমারড্ডা গ্রামে। মিহিলাল জানিয়েছেন, তাঁর বগটুইয়ের বাড়ি এখনও মেরামত করা হয়নি। সে কারণেই তিনি পাশের গ্রাম কুমারড্ডায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে মালদহ, ঝাড়গ্রাম ও রামপুরহাট থেকে বীরভূম জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিন জন। ধৃতদের নাম শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ।
২১ মার্চ রাতে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু ও তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ঘটনার পর দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বড় কোনও সূত্রের খোঁজ পায়নি সিবিআই। বুধবারই কি মিলবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বড় কোনও সূত্রের খোঁজ?