মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে রাজেশ লাকড়া। নিজস্ব চিত্র
বিমল গুরুংরা সমতলে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নামতে পারেন। এই প্রস্তাব শুনে ‘আগুন জ্বালানো’র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডুয়ার্সের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজেশ।
সোমবার রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন রাজেশ। এ দিন তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল নেতারা। জোড়াফুল শিবিরে পা রেখে রাজেশ তুলে ধরেছেন, আদিবাসী সমাজ এবং চা শ্রমিকদের সমস্যা দূরীকরণে রাজ্য সরকারের ‘অবদান’-এর কথা।
দীর্ঘ দিন অন্তরালে থাকার পর, প্রকাশ্যে এসে রাজেশের সরাসরি তৃণমূলে যোগদান ডুয়ার্সে বিজেপির চিন্তা আরও বাড়াল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, রবিবার কার্শিয়াংয়ে সভা করেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। ওই দিনই মোর্চার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পাহাড় এবং সমতলেও তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে মাঠে নামতে চলেছে মোর্চা। গুরুংদের এই ঘোষণার পরেই ফুঁসে উঠেছিলেন রাজেশ। তিনি পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন, গুরুংরা সমতলে প্রচারে নামলে আগুন জ্বলবে। কিন্তু এর পরই রাজেশের তৃণমূল শিবিরে যোগদান ডুয়ার্সের রাজনীতিতে ভিন্ন ইঙ্গিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ডুয়ার্সে গুঞ্জন, আগামী বিধানসভা ভোটে মালবাজার আসন থেকে লড়তে পারেন রাজেশ।
আরও পড়ুন: সিবিআইকে সহযোগিতা করার জন্য রাজীবকে বলেছে রাজ্য: সুব্রত