নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্য জুড়ে। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে আকাশের মুখভার গত দু’দিন থেকেই। সারাদিন মেঘলা আকাশ। পুজোর আগে রাস্তার জলকাদায়, যানজটে হয়রান কলকাতাবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালেও একই চেহারা কলকাতার। ভারী বর্ষণ না হলেও একটানা বৃষ্টিতে ভিজেছে তিলোত্তমা নগরী। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। সারা দিন মেঘলা আকাশ থাকবে। দু’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা যথাক্রমে ৯৮ শতাংশ এবং ৮৬ শতাংশ।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া অফিসের। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় সারা দিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে দু’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও বৃহস্পতিবার হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টির রেশ থাকতে পারে সোমবার পর্যন্ত। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলি। নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গেও। পাহাড়ি এলাকার জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের তরফে এই তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার পাশাপাশি শুক্রবার ভিজতে পারে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার কয়েকটি এলাকা। শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই দুই জেলাতেও। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের উপরে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ক্রমশ তা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। নিম্নচাপের গতিবিধির উপরেই দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ নির্ভর করবে।
প্রসঙ্গত, পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠতে শুরু করেছে পুজোর বাজার। কলকাতাতেও পুজোর বাজার নিয়ে দোকানদারদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মধ্যে নিম্নচাপ হওয়ায় তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিক্রেতাদের কপালে। বৃষ্টির ফলে বিঘ্ন ঘটছে পুজোর বাজারেও।