বড় পদক্ষেপ —প্রতীকী চিত্র।
কয়েক বছর আগে চলন্ত ট্রেন থেকে ক্যানিংয়ের এক তরুণীর মোবাইল চুরি যায়। ক্যানিংয়ের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও সেখানে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সোনারপুরের জিআরপি-র কাছে। এমন হয়রানি শুধু ওই তরুণীরই নয়। চলন্ত ট্রেনে অপরাধের অভিযোগ জানাতে বারাসত-বসিরহাট, রানাঘাট-কল্যাণী, শিয়ালদহ-বিধাননগর রোড, সোনারপুর-ক্যানিং কিংবা দমদম-ব্যারাকপুর ছুটে বেড়ানোর তালিকায় রয়েছেন আরও অনেক ভুক্তভোগী।
যাত্রীদের হয়রানি এড়াতে তাই এ বার শিয়ালদহ রেল পুলিশ এলাকার পাঁচটি ফাঁড়িকে ‘ইনভেস্টিগেশন সেন্টার’ বা তদন্ত কেন্দ্রের রূপ দিল রাজ্য সরকার। বুধবার ক্যানিং, ব্যারাকপুর, বসিরহাট, কল্যাণী ও বিধাননগর রোডে রেল পুলিশের ফাঁড়িকে ওই তদন্ত কেন্দ্রে পরিবর্তিত করা হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, এখন থেকে ওই পাঁচটি কেন্দ্রেও যাত্রীদের অভিযোগ জমা নেওয়া যাবে এবং মামলা দায়ের করে তদন্ত করা হবে। ওই সব তদন্ত কেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারও। রাজ্যের রেল পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনায় ব্যতিব্যস্ত রেল পুলিশের থানাগুলির চাপ কমাতে এবং বড় বড় স্টেশনের গুরুত্ব ও যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, আগে ফাঁড়ি থাকলেও সেখানকার অফিসার বা কর্মীদের তদন্ত করার অধিকার ছিল না। লক-আপ না-থাকায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও ফাঁড়িতে রাখার ব্যবস্থা ছিল না। তিরিশ-চল্লিশ কিলোমিটার দূরের রেল পুলিশের থানায় ধৃতদের নিয়ে গিয়ে লক-আপে রাখতে হত। নতুন সব তদন্ত কেন্দ্রেই লক-আপের বন্দোবস্ত থাকছে।
তবে রেল পুলিশের একাংশের বক্তব্য, তদন্ত কেন্দ্র চালু হলেও কর্মী বা পরিকাঠামো মান্ধাতা আমলের। নজরদারি, যাত্রী নিরাপত্তা— সব ক্ষেত্রেই ভুগতে হচ্ছে রেল পুলিশকে।