সচেতনতা: বোঝাচ্ছে পুলিশ। বামনগাছিতে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
বারংবার ধরপাকড়েও কাজ না হওয়ায় ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে পাথর বা বাজিপটকা ছোড়া রুখতে এ বার অন্য পথে হাঁটল রেল।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার যে সমস্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে, সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে সোমবার পদযাত্রা করল রেল পুলিশ। বারাসত সংলগ্ন বামনগাছি-দত্তপুকুরের পাশাপাশি হাবড়া থেকেও চলল ‘সচেতনতা যাত্রা।’ যার পরিণতি, এলাকার মানুষই কথা দিলেন, পুলিশের পাশাপাশি নজরদারি চালাবেন তাঁরাও। কাউকে পাথর বা বাজি ছুড়তে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে খবর দেওয়া হবে পুলিশে।
সম্প্রতি বামনগাছি ও হাবড়ার মাঝে ট্রেন লক্ষ্য করে রেললাইন থেকে পাথর ছোড়ে কিছু দুষ্কৃতী। ওই ঘটনায় আহত হন কয়েক জন। অদ্রিজা মজুমদার নামে সাত বছরের একটি শিশুর নাক ফেটে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পায় সে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্যই এ দিন এই সচেতনতা যাত্রা বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
এ দিন সকাল থেকে হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে রেল পুলিশের আধিকারিকদের নেতৃত্বে শুরু হয় সচেতনতা যাত্রা। এক দিকে হাবড়া, অন্য দিকে বামনগাছি স্টেশন থেকে রেললাইন লাগোয়া বসতি পর্যন্ত দু’দিক থেকে দু’টি পদযাত্রা এগিয়ে চলে। পাথর ছোড়া বন্ধের পাশাপাশি রেললাইনের উপরে বসে থাকা, আড্ডা মারা এবং মদ্যপান ও মাদক সেবন বন্ধের ডাকও দেয় রেল পুলিশ।
বামনগাছির বাসিন্দা অভীক মিস্ত্রি বলেন, ‘‘মারধর বা গ্রেফতারির বদলে রেল পুলিশ যে ভাবে মানবিক পদ্ধতিতে পথে নেমে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে, তা প্রশংসনীয়।’’ বনগাঁ রেল পুলিশের আধিকারিক দীপক পাইক বলেন, ‘‘ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরের পাশাপাশি দীপাবলিতে বাজিও ছোড়া হয়। এই জাতীয় ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্যই এই প্রচেষ্টা।’’