আপাতত দার্জিলিং মেল হলদিবাড়ি থেকে চালানো সম্ভব নয়, তার পরিবর্তে নতুন কোনও ট্রেন চালানোর আশ্বাস দিলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়। সোমবার তিনি হলদিবাড়ি স্টেশন এবং আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন। রেল সূত্রের খবর, বাংলাদেশের চিলাহাটির সঙ্গে রেল যোগাযোগের পরিকাঠামো হলদিবাড়িতে তৈরি হচ্ছে। জেনারেল ম্যানেজার মূলত সেই পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতেই এসেছিলেন বলে রেলের খবর। কবে থেকে দু’দেশে রেল চলাচল করবে, তা নিয়ে জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, হলদিবাড়ি-জলপাইগুড়ির দিকে পরিকাঠামো তৈরির কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, এখন বাংলাদেশের দিকে কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা। এ দিন জেনারেল ম্যানেজারকে একাধিক রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন দাবিদাওয়া পেশ করে। তার মধ্যে দার্জিলিং মেলকে হলদিবাড়িতে রেখে দেওয়ার দাবিই ছিল প্রধান।
পরে সঞ্জীব বলেন, “দার্জিলিং মেলকে আপাতত হলদিবাড়ি থেকে চালানো সম্ভব নয়। তার বিকল্প হিসেবে নতুন কোনও ট্রেন চালানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আগামী এপ্রিল মাস থেকে হলদিবাড়ি-দার্জিলিং মেলের স্লিপ কোচ তুলে নিচ্ছে রেল। দার্জিলিং মেল ওই সময় থেকে এনজেপি-শিয়ালদহের মধ্যেই চলবে। হলদিবাড়ি থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার ট্রেনের দাবি তুলেছিল বেশ কিছু সংগঠন। সে দাবিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জেনারেল ম্যানেজার আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার রাতে হলদিবাড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছে দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকা হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ পুনরায় চালুর জন্য নির্মীয়মান প্লাটফর্ম, রানিং রুম, জিআরপিএফ থানা, রেল লাইন ও বিভিন্ন ভবন ঘুরে দেখেন। কাজের মানও খতিয়ে দেখেন তিনি।
পরিদর্শনের পরে দাবি জানাতে আসা সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেন জেনারেল ম্যানেজার। দার্জিলিং মেলের কোচ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, উল্টে পুরো ট্রেনটি হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে চলার ব্যবস্থা করা, বাজারে অবস্থিত রেলগেটের ফ্লাইওভারের নির্মাণ, হলদিবাড়ি থেকে এনজেপি পর্যন্ত ইলেকট্রিক লাইন চালু করার দাবি জানান মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্করকুমার দাস। অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলার দাবি জানান কংগ্রেসের ব্লক কমিটির সভাপতি সীতাংশু মল্লিক। দার্জিলিং মেলের সঙ্গেই অজমেঢ় শরিফ যাওয়ার নতুন ট্রেন চালু, রোজ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালানো, নয়াদিল্লি ও দক্ষিণ ভারতগামী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি জানান বিজেপির তরফে টাউন মণ্ডল কমিটির সভাপতি হিতেন্দ্রনাথ রায়। রেল ফ্লাইওভার, ক্ষুদিরামপল্লী এলাকায় ফুট ব্রিজ নির্মাণ, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি-৩ কামরা চালুর দাবি জানান ফরওয়ার্ড ব্লকের হলদিবাড়ি লোকাল কমিটির সভাপতি শ্যামল দাস।
আরও পড়ুন: কাগজ দেখাব না: সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপট বিশিষ্টদের ভিডিয়ো বার্তার
জলপাইগুড়ি শহরের ৩ নম্বর ঘুমটিতে ফ্লাইওভার, কোচবিহার যাওয়ার জন্য লিঙ্ক ট্রেন, জলপাইগুড়ি শহরের স্টেশনে ফের ওয়াগন পরিষেবা চালু, হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে অতিরিক্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালুর দাবি জানান ডিওয়াইএফআই-এর জলপাইগুড়ি শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক সাম্য সরকার।