—প্রতীকী চিত্র।
নিজেদের অব্যবহৃত জমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে আয় বাড়ানোর প্রক্রিয়া কয়েক বছর ধরে চালিয়ে আসছে রেল। তারা এ বার হাওড়া স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে, হুগলি নদীর ধারে নুনগোলার জমি নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য লিজ দিতে চলেছে বলে রেল সূত্রের খবর। রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা আরএলডিএ এই ব্যাপারে টেন্ডার বা দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। ওই জমি লিজ দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন রেলকর্মী ইউনিয়ন।
অভিজাত আবাসন, হোটেল, মাল্টিপ্লেক্স ইত্যাদি গড়তে হাওড়ার নুনগোলার ওই জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আরএলডিএ। গোলাবাড়ি ঘাট এবং রেলের ছাপাখানার কাছাকাছি প্রায় ৮৮,৩০০ বর্গ মিটার জমি লিজের আওতায় আসছে। এর জন্য ৪৪৮ কোটি টাকা প্রাথমিক মূল্য ধার্য করেছে রেল। ২৯ অগস্ট পর্যন্ত দরপত্র জমা নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।
আরএলডিএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট বেদ প্রকাশ দুদেজা বলেন, ‘‘বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে হাওড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। রেলের ‘ল্যান্ড পার্সেল’ হিসেবে ওই জমি বাণিজ্যিক উন্নয়নের কাজে দেওয়া হবে।’’ ওই জমিতে বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টস বা জলক্রীড়া চালু করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন আরএলডিএ-র কর্তারা। এ ভাবে রেলের জমি লিজ দিয়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাকেই ঘুরপথে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে রেলকর্মীদের বিভিন্ন ইউনিয়ন। লিজের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ-সমাবেশও করেছে।