—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে এ বার শিয়ালদহ মেন এবং বনগাঁ শাখায় সমস্ত লোকাল ট্রেনকে ১২ কামরাবিশিষ্ট করার পরিকল্পনা নিল রেল। শিয়ালদহ শাখায় ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার প্রধান কারণ হল ছোট প্ল্যাটফর্ম। সমস্যার সমাধানে শিয়ালদহ মেন শাখায় শিয়ালদহ স্টেশন ছাড়াও বেশ কিছু স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো প্রয়োজন।
তবে রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শুধু প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন করলেই হবে না, তার সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং অনেক ক্ষেত্রে ইয়ার্ড লেআউট পরিবর্তন করার কাজ। রেলের আরও বক্তব্য, এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এতে ট্র্যাফিক ব্লকেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু শিয়ালদহ ডিভিশনে লক্ষাধিক যাত্রী চলাচলের কথা মাথায় রেখে সব সময় রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহের ১, ২, ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কাজ শুরু করছে রেল। এই চারটি প্ল্যাটফর্ম থেকে মূলত শহরতলির উদ্দেশে যাওয়া লোকাল ট্রেনগুলি ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে হবে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই খোঁড়াখুঁড়ি এবং চারটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধির কাজ শুরু হতে চলেছে আগামী রবিবার থেকে। রেলের তরফে এই চারটি প্ল্যাটফর্মে নামা কিংবা ট্রেন ধরতে যাওয়া যাত্রীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন আগামী কয়েক দিন সজাগ হয়ে চলাফেরা করেন। তবে কাজ শুরু হলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও যাত্রীদের সতর্ক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) কৌশিক মিত্র জানান যে, রেল হাওড়া ডিভিশন এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মতো শিয়ালদহ মেন শাখার সমস্ত ট্রেনকেই ১২ কোচের করে ফেলতে চায়। তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে দাবি আসছিল। যাত্রীদের এই বহুলালিত আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে পূর্ব রেল শিয়ালদহ উত্তর শাখায় চারটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ শুরু করছে। আশা করা যায়, এতে আরও বেশি সংখ্যায় ১২ কোচের লোকাল ট্রেন যাত্রীদের পরিষেবা দিতে পারবে।”
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ ও ডাউন মিলিয়ে ১৩৪ জোড়া লোকাল ট্রেনের মধ্যে ১৩২ জোড়াই ১২ কামরাবিশিষ্ট। কিন্তু শিয়ালদহ মেন শাখায় ১৮৬টি আপ ট্রেনের মধ্যে ৮৮টি ১২ কোচের এবং ১৮৮টি ডাউন ট্রেনের মধ্যেও ৮৮ টি ১২ কোচের। এত দিন অফিসের ব্যস্ত সময়েই মূলত ১২ কোচের লোকাল ট্রেনগুলিকে দেওয়া হত।