(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ যাদব। নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
প্রায় এক মাস হল, ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন নীতীশ কুমার। নতুন করে শপথ নিয়ে হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার কি ফিরে আসতে পারেন পুরনো জোটে! রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এখনও সম্ভবত আশা ছাড়েনি। আর তা স্পষ্ট হয়েছে দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের কথায়। নীতীশ দলে ফিরে এলে কী করা হবে, তা নিয়েও স্পষ্টই উত্তর দিয়েছেন লালু। জানিয়ে দিয়েছেন, দরজা ‘খোলা থাকবে’। যদিও বাবার মতো এত নরম সুর শোনা যায়নি তেজস্বী যাদবের গলায়।
অতীতে দু’বার বিজেপির হাত ছেড়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-এ যোগ দিয়ে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ। তার পর আবার জোট ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৭ সালে আরজেডি-কংগ্রেস জোট ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল নীতীশ নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। এর পর ২০২২ সালের অগস্টে আবার বিজেপি-বিরোধী জোটে ফেরেন তিনি। তার পর জানুয়ারিতে ফের জোটবদল। আবার নীতীশ ‘মহাগঠবন্ধন’-এ ফিরে এলে কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে লালু বলেন, ‘‘আবার এলে দেখব। দরজা খোলাই থাকে।’’ এক দিন আগেই বিহার বিধানসভায় মুখোমুখি হয়েছিলেন লালু এবং নীতীশ। জেডিইউ নেতা ‘মহাগঠবন্ধন’ ছাড়ার পর এই প্রথম। খুব স্বল্প সময়ের জন্য দু’জন মুখোমুখি হলেও সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দু’জনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে, জানতে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। লালুর সঙ্গে ছিলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী।
শুক্রবার যদিও তেজস্বী নতুন করে নীতীশকে আক্রমণ করেছেন। শুক্রবার তিনি বিহারে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় যোগ দেন। নীতীশের প্রসঙ্গ উঠলে আরজেডি বিধায়ক বলেন, ‘‘আপনারা সকলেই জানেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কেমন? তিনি কারও কথা শুনতে চান না। তিনি বলতেন, ‘মরে গেলেও বিজেপিতে যাব না’। ২০২৪ সালের লোকসভায় বিজেপিকে হারানোর জন্য আমরা নীতীশজির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার জন্য যত আত্মত্যাগই করতে হোক না কেন, তবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ক্লান্ত এক মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলাম।’’
রাহুল কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন? লালুকে এই নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘কোনও খামতি আছে নাকি! কোনও খামতি নেই।’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে তাঁরা হারাবেনই।