ডিওয়াইএফআইয়ের অবস্থানে বক্তৃতা রাখছেন মীরা ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে যে ভাবে মানুষ রাস্তায় নামছেন, প্রতিবাদ করছেন, তা আগে কেউ কখনও দেখেনি বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। গত ২৩ দিন ধরে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে, বিচারের দাবিতে শ্যামবাজারে ধর্না-অবস্থান করছে সিপিএমের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন। সেই মঞ্চেই বুধবার রাতে গিয়েছিলেন মীরা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যে ভাবে মানুষ রাস্তায় নামছেন, তা গণআন্দোলনের আকার নিয়েছে, সব বয়সের মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন। বিচারের দাবি তুলছেন। এমনটা কখনও দেখেছেন? কেউ কখনও এমন ছবি দেখেননি।’’
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মীরার যাওয়ার কথা ছিল শ্যামবাজারে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাঁর পৌঁছতে বেশ খানিকটা দেরি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা মিনাক্ষী মুখাপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কনীনিকা ঘোষদের সঙ্গে ওই মঞ্চে ছিলেন মীরা। বৃহস্পতিবার আপাতত শেষ হচ্ছে বাম ছাত্র-যুবদের অবস্থান। অবস্থান শেষে বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা। অবস্থান মঞ্চ থেকে সেই সমাবেশকেও সফল করার কথা বলেছেন মীরা।
গত ৮ অগস্ট বুদ্ধদেব প্রয়াত হয়েছিলেন। ৯ অগস্ট ছিল তাঁর শেষযাত্রা। ওই দিনই সকালে আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর থেকে লাগাতার আন্দোলন চলছে। গত ২২ অগস্ট সিপিএমের উদ্যোগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বুদ্ধদেবের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সভাও কার্যত আরজি করের প্রতিবাদ সভার আকার নিয়েছিল। ইন্ডোরের গ্যালারি থেকে যেমন স্লোগান উঠেছিল ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লাল সেলাম’, তেমনই স্লোগান উঠেছিল ‘স্মরণসভার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’। স্মরণসভাতেও উপস্থিত ছিলেন মীরা। তার পর ফের তাঁকে কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে দেখা গেল।