গার্ডওয়াল হবে তো! প্রশ্ন মন্দারমণিতে

সেজে উঠছে মন্দারমণি। দিঘার সৈকতের মতো সেখানেও তৈরি হচ্ছে বিশ্ব বাংলা উদ্যান। কিন্তু সেই উদ্যানের সামানে ভাঙন রুখতে গার্ডওয়াল না থাকায় প্রশ্ন উঠছে অভিজ্ঞমহলে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্দারমণি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০১:১৩
Share:

সৌন্দর্যায়ন: মন্দারমণির উদ্যান। নিজস্ব চিত্র

সেজে উঠছে মন্দারমণি। দিঘার সৈকতের মতো সেখানেও তৈরি হচ্ছে বিশ্ব বাংলা উদ্যান। কিন্তু সেই উদ্যানের সামানে ভাঙন রুখতে গার্ডওয়াল না থাকায় প্রশ্ন উঠছে অভিজ্ঞমহলে।

Advertisement

বিশ্ব বাংলা উদ্যান দিঘা সৈকতের সৌন্দর্য কয়েকগুণে বাড়িয়েছে বলে মত পর্যটকদের। ওল্ড দিঘায় ওই উদ্যানের সামনে রয়েছে গার্ডওয়াল। ফলে সমুদ্রের ঢেউয়ে সেখানে ভাঙন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু মন্দারমণিতে যে উদ্যানটি তৈরি হচ্ছে, তার সমানে তেমন কোনও গার্ডওয়াল তৈরি হয়নি। ফলে জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল এসে বিশ্ব বাংলার নির্মাণে সজোরে ধাক্কা মারছে। এতেই শঙ্কিত বহু পর্যটক। তাঁদের বক্তব্য, উদ্যান যদি নষ্টই হয়ে যায়, তাহলে তা বানানোর প্রয়োজন কী!

দিঘার মত মন্দারমণিতেও সৌন্দর্যায়নের উপর জোর দিয়েছে ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ’। প্রশাসন সূত্রের খবর, মন্দারমণির বিশ্ব বাংলা উদ্যানের ঠিক পাশেই ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে’র আর্থিক সহায়তায় সেচ দফতর মাত্র ৫০ মিটারের কংক্রিটের গার্ডওয়াল তৈরি করেছে। ওই রকম গার্ডওয়াল ওল্ড দিঘা এবং দিঘা মোহনাতেও তৈরি করেছে সেচ দফতর। কিন্তু মন্দারমণির উদ্যানের সামনে তেমন কেন তৈরি করা হয়নি, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যে সংস্থা ওই উদ্যান বানাচ্ছে, তারাও গার্ডওয়াল তৈরির পক্ষে সওয়াল তুলেছেন।

Advertisement

যে সংস্থা উদ্যানটি তৈরি করছে, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাংলা উদ্যান করতে প্রায় আট কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ওই সংস্থার এক ঠিকাদারও বলেন, “বিশ্ববাংলার সামনে কংক্রিটের গার্ডওয়াল হলে খুব ভাল হয়। না হলে উদ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে।’’

সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমুদ্র সময়ে সময়ে এবং স্থান অনুসারে তার ভাঙনের চরিত্র বদলায়। তাই এখনই হলফ করে ভবিষ্যতের কথা বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলাই যায় যে, মন্দারমণিতে গার্ডওয়াল হয়ে আপাতত বিশ্ব বাংলা অনেকটাই সুরক্ষিত হবে।’’

এ প্রসঙ্গে কাঁথি সেচ দফতরের বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিত বলেন, “সমুদ্র ভাঙন রোধে আমরা ওল্ড দিঘা ও মোহনায় কংক্রিটের গার্ডওয়াল বানিয়েছি। পর্ষদের টাকায় মন্দারমণিতেও তেমন গার্ডওয়াল কিছুটা বানিয়েছি। যদি পর্ষদ টাকা দেবে বলে তাহলে মন্দারমণিতে পুরোটা কংক্রিটের গার্ডওয়াল করে দেওয়া হবে।’’ তবে এ নিয়ে এখনও তেমন কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর।

গোটা ব্যাপারে ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে’র চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, “এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। রাজ্য পরিবেশ দফতরের ও সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দিঘার মত সারা মন্দারমণিতেও কংক্রিটের গার্ডওয়াল করার কথা পর্ষদের মাথায় রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement