BJP

তৃণমূলের সভার অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন

যেখানে তৃণমূলের সভামঞ্চ তৈরি হয়, রাস্তা সেখানে খুব চওড়া নয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় এবং যানজট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

ডায়মন্ড হারবারের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার আসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি শিরাকোলে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা শুক্রবার বলেন, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন শুনে স্থানীয় মানুষ এক দিনের নোটিসেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন।’’

Advertisement

যেখানে তৃণমূলের সভামঞ্চ তৈরি হয়, রাস্তা সেখানে খুব চওড়া নয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় এবং যানজট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গোলমালের সূত্রপাতও জটলার ভিতর থেকেই। অভিযোগ, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের সঙ্গে এই এলাকাতেই গোলমাল শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। কনভয়ে ইট পড়ে অবশ্য শিরাকোল থেকে কিছুটা এগিয়ে, সরিষায়।

প্রশ্ন উঠেছে, নড্ডার কনভয় যাবে জেনেও কেন পুলিশ এই জায়গায় সভার অনুমতি দিল? কয়েক মাস আগে শিরাকোল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আক্রান্ত হয়েছিল বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি। তাই গোলমালের আশঙ্কা যে ছিলই , তা এ দিন জানিয়েছেন এলাকার বহু মানুষই। তবে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের কোনও কর্তাই মুখ খোলেননি। বহু বার ফোন করা হলেও ধরেননি পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে। মেসেজেরও উত্তর দেননি। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিরাকোলে শাসকদলের সভামঞ্চের আশে পাশে বিষ্ণুপুর, ফলতা, উস্তি ও মগরাহাট— চারটি থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিজেপি নেতার কনভয় আসছে জেনেও কেন তৃণমূলের জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হল না, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি পুলিশ কর্তারা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, নড্ডা জ়েড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাঁর কনভয়ে ৫০টি গাড়ি বা এত বাইক থাকে কী করে?

Advertisement

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ ধরনের কর্মসূচি থাকলে বেশ কিছু দিন আগে থেকে মাইকে প্রচার করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সভার কোনও প্রচার চোখে পড়েনি, কানেও আসেনি। অগোছালো ভাবে মঞ্চ বাঁধা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এমন খোলা মঞ্চে সভা করতে তৃণমূলের মন্ত্রী ও জেলা নেতৃত্বকে দেখা যায়নি বলেও জানান তাঁরা। সভায় জেলা থেকে বাস, ট্রাকে করে লোক আনা হয়েছিল বলে স্বীকার করছেন দলের কিছু নেতা। সভাস্থলের অদূরে প্রায় তিন হাজার তৃণমূল কর্মীর দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

হটুগঞ্জ মোড়, সরিষা হাট মোড়েও দুপুর থেকে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল। মহকুমার নানা প্রান্তে নড্ডার কর্মসূচির ব্যানার, বিজেপির পতাকা খুলে ফেলে স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়। এ দিন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নড্ডার কনভয় শিরাকোল পৌঁছনোর পরে দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়। নড্ডার গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূলের সভাস্থলও ফাঁকা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে গোলমাল হল? জেলা পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, গোলমাল থামাতে গিয়ে প্রায় ১০ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। এক জন আইসি-র হাতে গুরুতর চোট লেগেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement