কোভিড পরীক্ষার পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আশীর্বাদ। বাবুঘাটে। সুমন বল্লভ
অতিমারির থাবা এড়াতে গঙ্গাসাগরে ডুব দিয়ে পুণ্যার্জনের থেকে এ বার কৌটোভর্তি জল মাথায় ছিটিয়ে প্রতীকী স্নানের পক্ষপাতী কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, পুণ্যার্থীরা যাতে জলে না-নামেন, সেই বিষয়ে তাঁদের লাগাতার সচেতন করতে হবে। মাইকে ঘোষণা করতে হবে। ই-স্নান ও ই-দর্শনের উপরেও জোর দিতে বলেছে আদালত। রাজ্য প্রশাসনের খবর, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক শনিবার থেকেই সচেতনতা প্রচারের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি ই-স্নানের বন্দোবস্ত ছিল আগে থেকেই।
হাইকোর্টের নির্দেশ পালন নিয়ে আগামী বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরমেলার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, ওই রিপোর্ট পেশের পরেই চূড়ান্ত রায় দেবে হাইকোর্ট। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার ভোরে পুণ্যস্নানের লগ্নে বহু মানুষ নির্দেশ অমান্য করে জলে নামলে কী হবে? গঙ্গাসাগর মেলার মতো জনসমাগমের সুবৃহৎ ক্ষেত্রে সচেতনতার প্রচার চালিয়ে কোভিড বিধি পালন করানো কত দূর সম্ভব, রয়েছে সেই প্রশ্নও।
ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন সাধুসন্ন্যাসী ও সাধারণ পুণ্যার্থীরা। আগামী বুধবার দুপুরে হাইকোর্টে যখন মুখ্যসচিবের রিপোর্ট পেশ করা হবে, তত ক্ষণে সাগরদ্বীপে মেলা কার্যত শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। অনেকেই পুণ্যস্নানের আগেও জলে নেমে স্নান সারেন। কী ভাবে আটকানো যাবে তাঁদের?
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, নতুন করে সংক্রমিত ৭৮৭
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারে নাম নথিভুক্তি পৌঁছে গেল ২ কোটিতে, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রশাসনের খবর, শুধু সচেতনতা প্রচারেই উদ্যোগ সীমাবদ্ধ নয়। ধর্মীয় আবেগকে সম্মান জানাতে ই-স্নানের পরিকাঠামো অনেকটাই বাড়ানো হচ্ছে। গঙ্গাসাগরের হরিণবাড়ি, রুদ্রনগর ও চককুমডুবি এলাকায় ই-স্নানের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে এ দিন সকালে। ই-স্নানের জন্য ওই তিনটি অঞ্চলকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কর্তারা। প্রাথমিক ভাবে ধরা হয়েছে, কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর আসবেন। পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী দূরত্ব-বিধি মেনে ই-স্নানের পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সাগরদ্বীপ ছাড়া কাকদ্বীপ, আট নম্বর লট এবং কলকাতা আউট্রাম ঘাটেও ই-স্নানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কিয়স্কের পবিত্র জল দেওয়া হবে পুণ্যার্থীদের।