The University of Burdwan

The University of Burdwan: মহিলাকে নিয়োগ কার নির্দেশে, চর্চা বর্ধমানে

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়োগ ‘বেআইনি’ জানিয়ে ২০১৬-র অক্টোবর থেকে ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী ৩২ জনকে ছাঁটাই করা হয়।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২২ ০৬:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

অস্থায়ী ৩২ জন কর্মীকে যে সময়ে ছাঁটাই করা হচ্ছে, তখনই সে পদে নিয়োগ করা হয় এক মহিলাকে— এ বারে পাঁচ বছর আগের এমনই ঘটনাকে টেনে নিয়োগ দুর্নীতির দাবি উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসকদলের কর্মী সংগঠনের নেতাদের দাবি, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তি জানাতে গিয়ে শুনেছিলেন, ‘সবই তো বোঝেন’। বিরোধী কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, ওই নিয়োগ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নতুন চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত যে মহিলার নিয়োগ নিয়ে এই অভিযোগ, তাঁর অবশ্য দাবি, ‘‘পুরোটাই গুজব।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়োগ ‘বেআইনি’ জানিয়ে ২০১৬-র অক্টোবর থেকে ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী ৩২ জনকে ছাঁটাই করা হয়। তখনই কিন্তু বর্ধমানের বাসিন্দা ওই মহিলাকে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সূত্রের দাবি, কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাফ জানান, মহিলাকে নিয়োগ করতেই হবে। এর পরে ওই মহিলাকে ঠান্ডা ঘরে বসে কাজে সুযোগ দেওয়া হয় বলেও দাবি।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক আধিকারিকের দাবি, “শুনেছিলাম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে ওই মহিলা চাকরি পেয়েছেন। এটুকুর জন্য মন্ত্রী বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ ফোন করতে পারেন, বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন মনে হচ্ছে, অবিশ্বাস্য কিছু নয়!’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের এক নেতার দাবি, “কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বলা হয়েছিল, ‘সবই তো বুঝছেন’।’’ বামপন্থী সংগঠন ‘বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর সম্পাদক রূপক মাজিল্যার অভিযোগ, “কী ভাবে ঠিকা কর্মী নিয়োগ হয়, কেউ জানে না।’’ মহিলা যদিও ফোনে মঙ্গলবার দাবি করেন, ‘‘সোমবার পর্যন্ত হাজিরা খাতায় আমার সই রয়েছে।’’

এর মধ্যে, আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার এক শিক্ষিকার অপসারণ চেয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাদের দাবি, ওই শিক্ষিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নানা ‘অপকর্মের’ সঙ্গে জড়িত। শিক্ষিকা এ দিন ফোন ধরেননি, জবাব দেননি মেসেজেরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement