ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের চলতি আর্থিক পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের মতো টাকা পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছে পূর্ত দফতর। তাই বাড়তি দায়িত্বের ‘বোঝা’ ঝেড়ে ফেলে বুঝেশুনে খরচের নির্দেশ দিয়েছেন কর্তারা। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ত দফতরের বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়।
বিভিন্ন দফতর পূর্ত দফতরকে কাজের বরাত দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই নির্মাণ সংক্রান্ত কাজকর্মে জমির জট থাকে। কখনও টাকায় টান পড়ে। তাই পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, জমি বা টাকার জটিলতা মেটাতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকেই। পূর্ত দফতর সেই ‘বোঝা’ বহন করবে না। এ নিয়ে দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর ।
সূত্রের খবর, বড় সড়ক প্রকল্প এই মুহূর্তে গ্রহণ করা হবে না। তবে রাস্তায় খানাখন্দ যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যে প্রায় ১৮ হাজার কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় পূর্ত দফতরকে।
বর্ষার মরসুম শেষ হলেই যাতে ক্ষত মেরামতের কাজ শুরু করা যায়, তার প্রস্তুতিও এখন থেকেই শুরু করতে বলা হয়েছে বিভিন্ন ডিভিশনের অফিসারদের। দফতরের এক কর্তার কথায়, “টাকার সংস্থান কম থাকায় বুঝেশুনে খরচ করতেই হবে। আবার রাস্তায় ক্ষত থাকলে হবে না। ফলে পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে।”