সস্তা মোবাইলের চক্র, যুবক খুনের সূত্র ধরে তদন্ত, ধৃত ২

সস্তায় চোরাই মোবাইল মিলবে, এই আশায় এক যুবককে টাকা দিয়েছিলেন তিন যুবক। কয়েক মাস কেটে গেলেও মোবাইল, টাকা কিছুই মেলেনি। অভিযোগ, তারই প্রতিহিংসায় ওই যুবককে রাস্তায় একা পেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়। গত সপ্তাহের ওই খুনের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কৃত্তিবাস মাহাতো ও জন্মেঞ্জয় মাহাতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেন্দা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০০:১৬
Share:

সস্তায় চোরাই মোবাইল মিলবে, এই আশায় এক যুবককে টাকা দিয়েছিলেন তিন যুবক। কয়েক মাস কেটে গেলেও মোবাইল, টাকা কিছুই মেলেনি। অভিযোগ, তারই প্রতিহিংসায় ওই যুবককে রাস্তায় একা পেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়। গত সপ্তাহের ওই খুনের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কৃত্তিবাস মাহাতো ও জন্মেঞ্জয় মাহাতো। দু’জনেরই বাড়ি কেন্দা থানার বানসা গ্রামে। ওই দু’জনকে জেরা করেই খুনের নেপথ্যে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে পুলিশের দাবি। একই ঘটনায় পুলিশ আরও এক জনকে খুঁজছে।

Advertisement

গত ২৭ মার্চ কেন্দা থানা এলাকায় কৈড়া সেতুর কাছে পুঞ্চা থানার নির্ভয়পুর গ্রামের বাসিন্দা বাবুলাল শবরের নিথর দেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছিল, বাবুলালকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা হয়েছে। বাবুলালের বাবা ভুঁড়া শবরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা শুরু করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুলাল আগে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাই প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল। ছিনতাই হওয়া মোবাইল এলাকায় সস্তায় বিক্রি করত। পুঞ্চার নির্ভয়পুর ও কেন্দার বানসা গ্রাম দু’টি পাশাপাশি হওয়ার সুবাদে কৃত্তিবাস জন্মেঞ্জয়দের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। জেরায় পুলিশ জেনেছে, সস্তায় মোবাইল মিলবে এই প্রতিশ্রুতি মেলায় তাঁরা বাবুলালকে কিছু টাকা দিয়েছিল। বাবুলাল তার পরেই বর্ধমানে একটি ইটভাটায় কাজ নিয়ে চলে যায়। ফিরে আসার পরে মোবাইল না পেয়ে ধৃতেরা টাকা ফেরত চায়। ধৃতদের দাবি, টাকা বা মোবাইল কোনওটাই না দিয়ে বাবুলাল এ সময় তাঁদের এড়িয়ে চলতে শুরু করে। গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিন জনে বাবুলালের উপর চড়াও হয়। বাবুলালের বাবা ভুঁড়া শবর বলেন, “আমার ছেলে অপরাধমূলক কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল। তবু কেন যে ওরা আমার ছলেকে খুন করল বুঝতে পারছি না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement