স্ত্রীকে খুনের দায়ে সশ্রম কারাদণ্ড স্বামীর

সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায়, নিহতের স্বামী দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সোমবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী দোষী মিলন বাগদীকে এই সাজা শুনিয়েছেন। গত মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা জজ তাঁকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায়, নিহতের স্বামী দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সোমবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী দোষী মিলন বাগদীকে এই সাজা শুনিয়েছেন। গত মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা জজ তাঁকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী ভাস্কর ঘোষ জানান, লাভপুরের ভালকুঠি গ্রামের বাসিন্দা মিলন বাগদির সঙ্গে ওই গ্রামের পূর্ণিমার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে অকারণে পূর্ণিমা দেবীকে মারধর করত মিলন বাগদি। এমনকী তাঁদের দুই সন্তান হওয়ার পরেও, নানা অছিলায় মারধরের কাজ সমানে চলত। ২০১০ সালের ৬ মার্চ পেশায় খেতমজুর ওই বাগদী দম্পতি লাগোয়া সাঁইথিয়া থানার সালকিয়া মৌজার জমির কাজ করতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে কোনও এক কারণে মিলন শাবল দিয়ে স্ত্রী পূর্ণিমাকে পেটান। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়না তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পর নিহত পূর্ণিমার দাদা উত্তম বাগদি ওই বছর ১০ মার্চ লাভপুর থানায় জামাই মিলনের বিরুদ্ধে বোনকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে লাভপুর থানার পুলিশ ওই রাতে অভিযুক্ত মিলন বাগদীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের ৯০ দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট দিতে না পারায়, ৯১ দিনের মাথায় জামিনে ছাড়া পান মিলন। সোমবার সাজা শোনান বিচারক।” চিকিৎসক, পুলিশ অফিসার, নিহত বধূর দাদা-সহ ১৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement