শিশুর মৃত্যু, আগুন কয়লা ভ্যানে

কয়লাভর্তি মোটর চালিত ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। সোমবার দুপুরে মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম সুরজমনি টুডু (৪)। বাড়ি মুরারই থানার রাজবাড়ি এলাকায়। এ দিকে, দুর্ঘটনার পরে ভ্যান চালক এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ক্ষোভে স্থানীয় বাসিন্দারা পাঁচটি ভ্যান রিকশায় আগুন ধরিয়ে দেন। আশপাশ এলাকার মানুষজন তীর-ধনুক নিয়ে জড়ো হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০০
Share:

কয়লাভর্তি মোটর চালিত ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। সোমবার দুপুরে মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম সুরজমনি টুডু (৪)। বাড়ি মুরারই থানার রাজবাড়ি এলাকায়। এ দিকে, দুর্ঘটনার পরে ভ্যান চালক এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ক্ষোভে স্থানীয় বাসিন্দারা পাঁচটি ভ্যান রিকশায় আগুন ধরিয়ে দেন। আশপাশ এলাকার মানুষজন তীর-ধনুক নিয়ে জড়ো হন।

Advertisement

এ দিকে, দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়নি। অথচ ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার উপর দিয়ে কয়লা পাচার হচ্ছে। অথচ পুলিশ-প্রশাসন জেনেও না জানার ভান করে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে প্রাণ গেল শিশুর। মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম বলেন, “রাজগ্রাম-গোপালপুর রাস্তায় কয়লা পাচারের ব্যাপারে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই থানার রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সিংরাম টুডু মুরারই থানার ফুলবাড়ি গ্রামে আত্মীয়বাড়ি থেকে সাইকেলে করে ফিরছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা গোপালপুরের আবুল বাসার, মিস্টার শেখ, সাফিকুল ইসলাম বলেন, “এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ রাজগ্রাম-গোপালপুর রাস্তার উপর গোপালপুর হাইস্কুলের কাছে একটি সাইকেলে কয়লা ভর্তি যন্ত্র চালিত ভ্যান ধাক্কা মারে। সাইকেল আরোহী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সাইকেলের রডে বসে থাকা একটি বাচ্চা পড়ে যায়। তার পরে যন্ত্র চালিত ভ্যান রিকশার চাকা বাচ্চাটির মাথার উপর দিয়ে চলে যায়।” রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগ্রাম, রাজগ্রাম বাজার, বড়ুয়া-গোপালপুর এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ঝাড়খণ্ডের আমড়াপাড়া এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা বীরভূম সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম মুরারই এলাকায় ঢুঁড়িয়া, মোহনপুর এলাকায় মজুত করে এলাকার কয়লা চোরা চালানকারীরা। তার পর এখান ভ্যান রিকশায় করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়। তাঁদের অভিযোগ, সেই মজুত কয়লা মুরারই, নলহাটি, রামপুরহাট থানা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ও সাগরদিঘি থানার পুলিশের যোগসাজোসেপাচার হয়। বেআইনি কয়লা পাচার এবং কয়লা ভর্তি যন্ত্র চালিত ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু ঘটনা নিয়ে রামপুরহাট এসডিপিও এবং বীরভূম জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। দু’জনের ফোন বেজে গেলেও কেউ ফোন ধরেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement