রাজনৈতিক রং বদলের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে বাড়ির দাবিদারও

বাড়িটি দু’কামরার। কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে রাজনৈতিক রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। একটি বাড়িকে ঘিরেই বুধবার এমন ঘটনা ঘটেছে বোলপুর থানা এলাকার কোপাই গ্রামে। ওই বাড়িটি বর্তমানে বিজেপির হাতে। তৃণমূল অবশ্য ওই বাড়িটি জোর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩০
Share:

কোপাইয়ের এই বাড়িটি বুধবার দখল পায় বিজেপি।—নিজস্ব চিত্র।

বাড়িটি দু’কামরার। কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে রাজনৈতিক রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। একটি বাড়িকে ঘিরেই বুধবার এমন ঘটনা ঘটেছে বোলপুর থানা এলাকার কোপাই গ্রামে। ওই বাড়িটি বর্তমানে বিজেপির হাতে। তৃণমূল অবশ্য ওই বাড়িটি জোর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে সংশ্লিষ্ট সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল সিপিএম ও আরএসপি। কিন্তু কোপাই গ্রামে প্রভাব ছিল আরএসপি’র। তাই আরএসপি প্রভাবিত স্থানীয় গ্রামোন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে কোপাই ধর্মরাজতলায় একটি ‘দেবত্ব’ সম্পত্তির উপর দু’কামরার ওই পাকা বাড়ি নির্মিতি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সময় বাড়িটি আরএসপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত। ২০০৮ সালে আরএসপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দেন। এলাকায় প্রভাব বাড়ে তৃণমূলের। পরবর্তীতে বাড়িটির তৃণমূলের ‘কব্জায়’ আসে। এলাকায় থাকা তৃণমূলের কার্যালয়ের পাশাপাশি এই বাড়িটিতেও তাদের রাজনৈতিক কাজকর্ম হত বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল বিনা প্রতিন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এ দিকে, গত লোকসভা নির্বাচনের পরে আরএসপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপিতে নাম লেখান। এলাকায় প্রভাব বাড়ে বিজেপির।

এ দিন ওই সব কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতেই বাড়িটির চাবি তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা তাঁদের হাতে তুলে দেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। যদিও তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সহসভাপতি মদন সাহা দাবি করেন, “স্বেচ্ছায় নয়। চাপে পড়ে ওই বাড়িটি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এক সময় বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। আমরা তা রুখতেই বাড়িটি আটকে রেখেছিলাম। বাড়িটিতে আমাদের দলীয় কাজকর্মও হত।” অন্য দিকে, আরএসপি থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অমর দাস অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, “ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি ব্যবহার করার দাবিদারও বদলেছে। এখন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রভাব বৃদ্ধি হয়েছে। সে জন্যই তৃণমূল স্বেচ্ছায় আমাদের হাতে বাড়িটি তুলে দিয়েছে। কোনও জোর করা হয়নি। চাবি হস্তান্তরের সময় তৃণমূল নেতারা সেই জবানবন্দি দিয়েছেন। এখন উল্টো অভিযোগ করছেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement