মহিলা খুনে যাবজ্জীবন

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় প্রতিহিংসায় বধূকে খুন করেছিল এক যুবক। ওই খুনের ঘটনায় প্রতিবেশী যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল বোলপুর আদালত। সোমবার বিকেলে ওই সাজা ঘোষণা করেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবারই আদালত অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত ভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৫
Share:

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় প্রতিহিংসায় বধূকে খুন করেছিল এক যুবক। ওই খুনের ঘটনায় প্রতিবেশী যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল বোলপুর আদালত।

Advertisement

সোমবার বিকেলে ওই সাজা ঘোষণা করেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবারই আদালত অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত ভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। খুনের ঘটনায় দোষী প্রতিবেশী যুবক চৈতন্য কিস্কুু ওরফে ভোঁদরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।”

সরকারি আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় বোলপুর থানার পাথরঘাটা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় নিজের বাড়িতে লতিকা হেমব্রম নামে এক বধূ খুন হয়েছিলেনন। অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন একা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে লতিকাদেবীকে কুপ্রস্তাব দেয় চৈতন্য। ওই বধূ তাতে সাড়া না দিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। চৈতন্য তখনকার মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু, কিছু ক্ষণ পরেই সে ফের লতিকাদেবীর বাড়িতে চড়াও হন। ওই সময়ে বধূ বাড়িতে রান্নার কাজ করছিলেন। তাঁকে রান্নার কাজে সাহায্য করছিল মেয়ে পূর্ণিমা হেমব্রম। তপনবাবু বলেন, “চৈতন্য হঠাৎ-ই পিছন দিক থেকে এসে লতিকাদেবীর মাথায় একটি বাঁশ দিয়ে সজোরে আঘাত করে। তাঁদের চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় চৈতন্য।” এর পরেই রক্তাক্ত লতিকাদেবীকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। পরের দিনই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্বামী শুকলাল হেমব্রম। অভিযুক্ত চৈতন্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

Advertisement

তপনবাবু আরও জানান, খুনের পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক ফেরার ছিল। ওই বছর পয়লা এপ্রিল সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ২০১৩ সালের ৩০ জুন জামিনে ছাড়াও পায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় চার্জ গঠিত হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আদালতে মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের যুবতী মেয়ে পূর্ণিমা, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার, ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক নিয়ে মোট পাঁচ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। তার পরেই ওই খুনের ঘটনার দু’বছরের মাথায় সাজা ঘোষণা করল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement