মোটরবাইকে চেপে গুলি, বীরভূমে খুন তৃণমূল নেতা

খুনের কায়দা হুবহু এক। মোটরবাইকে এসে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে চম্পট। জেলার নাম, সেই বীরভূম। এ বার আততায়ীদের নিশানায় দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আবুল কালাম (৪২)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুর নিয়াময় যক্ষা হাসপাতালের কাছাকাছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৮
Share:

আবুল কালাম।—নিজস্ব চিত্র।

খুনের কায়দা হুবহু এক। মোটরবাইকে এসে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে চম্পট। জেলার নাম, সেই বীরভূম। এ বার আততায়ীদের নিশানায় দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আবুল কালাম (৪২)।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুর নিয়াময় যক্ষা হাসপাতালের কাছাকাছি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সদাইপুর থানার যাত্রাগ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম এ দিন সন্ধ্যায় মোটরবাইকে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে পালায়। বুকে গুলি খেয়েও কালাম ঘটনাস্থল থেকে দলের এক নেতাকে ফোনে সব জানান। তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।

শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ বীরভূমে এই কায়দায় একাধিক তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। বিশেষ করে দুবরাজপুর ও খয়রাশোল এলাকায়। গত বছর খয়রাশোলে খুন হন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অশোক ঘোষ। আর গত মাসে খয়রাশোলেই গুলি করে খুন করা হয় অশোক ঘোষ হত্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্যায়কে। এ বার পাশের ব্লক দুবরাজপুরে নিহত হলেন আবুল কালাম। এই তিন জনই নিজেদের এলাকায় দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিতি ছিলেন। তিন জনকে একই কায়দায় খুন করা হয়েছে।

Advertisement

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনায় সিপিএমকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, “কালামের বাড়ি যেখানে, সেই এলাকায় সিপিএমের একটা প্রভাব রয়েছে। কলকাতার নেতাদের উস্কানিতে সিপিএমের লোকজন এই কাজ করেছে। কারণ, কালাম অত্যন্ত ভাল ছেলে। কারও সঙ্গে বিরোধে জড়ায়নি কখনও।” অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন।”

অনুব্রত যতই দরাজ সার্টিফিকেট দিক না কেন, জেলা তৃণমূল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, আবুল কালাম শত্রু তৈরি করে ফেলেছিলেন। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের ঘনিষ্ঠ কালামের হাতেই ছিল দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির রাশ। তাঁর এক ব্যবসায়ী সঙ্গীকে নিয়ে বাঁকা পথে অর্থ রোজগারের উপায়ও কালাম বের করেছিলেন বলে দলের কিছু কর্মী জানান। এলাকায় দাদাগিরি, পুলিশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়া ও তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে নিহত নেতার বিরুদ্ধে। দাদাগিরির জন্য দলের একটা অংশের সঙ্গেও কালামের বিরোধ তৈরি হয়েছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি ভোলানাথবাবু। বীরভূমের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement